হার্লেম অন্ধকারে তুমি যদি মনে কর শরীরের যাবতীয় ধুতুরার বিষ শুষে নেবে রাজকীয় নাবিক। এমন কী যে কোনো সময় যে কোনো স্টেশনে থেমে যাবে আমাদের গাড়ি। অথবা জলের তেষ্টায় শুকালে গলা মনু নদী ঢেলে দেবে ঋগ্বেদ সংহিতা! ঘটবে নতুন কিছু ঝড়জল প্রেমাতঙ্ক রাতে… পেছনে রয়েছে ঠিক অন্য গল্প গায়ে তার ব্যথা! আঘাতের চিহ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় প্রতিঘাত পথে চিনতে পারে না বলে সুবিধা এসেছে ধারে কাছে জোরে গান গাই, আমি তার উল্লাসে আগুন ধরাই নামের উলটো পিঠে মৃত্যু মাদল বাজাতে বাজাতে হার্লেম অন্ধকারে বাজিকর হাসি তালিতে উড়িয়ে দেয় নিউইয়র্ক সিটি! মহাবিশ্বের ডিজিট খেলা সংখ্যা ও সাধ্যে আমাদের ডিজিটগুলো ভিন্ন তোমার ১ থেকে ৯ আমার কেবলই ০ এ বিপুল শূন্য সভায় কিছুই মেলে না, শুধু বিশাল অংকের এক শূন্যতা চুপচাপ বসে থাকে, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব ডাকে তখন তুমি নয়টি ডিজিট মূল্যে যা খুশি কিনে যাও যেমন ইচ্ছে সাজো, সাজাও। তোমাকে তাড়িয়ে ফেরে তুমি পকেটে রাখো অনেক খুচরো শব্দ, ঝনঝন ঝনঝন বাজে এইবার হাত বাড়িয়েছ আমার শূন্য ডিজিটের দিকে প্রথমে কিনতে চাইলে। অস্বীকৃতি জানাতেই কেড়ে নেবে বলে ষড়যন্ত্র আঁটছ। তুমিও জেনেছ শূন্যের শক্তি যে শক্তিতে আমি স্থির হয়ে আছি, তাই তোমারও চাই তাকে আলবেলা আঁধারের উৎসব তারপর, এক নিষিদ্ধ নগরের চাবি হাতে উঠে দাঁড়ালে খুব ধীরে চার পা হেঁটে গিয়ে একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে খুলে ফেললে বদ্ধ দরজা অবাক হবারই কথা! আমরা যারা ভন ভন শব্দ তুলে গল্প করছিলাম তাদের মাথায় ছিল না এমন একটি ঘটনা ঘটাবে কিন্তু ঘটেছে গল্পের বিষয় পালটে যায়, এবার তুমি এবং তোমার চাবি, কারসাজি আলবেলা আঁধারের ভরপেট বুভুক্ষু উৎসব, ভেবে পায় না, কী করে তুমি সেই চাবি খুঁজে পেলে, কাজে লাগালে। যা ছিল পলাতক নগরে নগরে ঢেউ, আধভাঙা স্বপ্নের কারিগরি বিদ্যা কিছুতেই ঘুমোতে দেয় না, ঘুমও আসে না আসে মহাকালের উলটো নামতা কলরব আধখানা প্রশ্ন এবং পুরোপুরি অবজ্ঞা কৌতূহল। তবু মনে রেখো এসব কিছুর পরও তোমার ওই বদ্ধ দরজা খোলার বিষয়টা কাঁটা হয়ে বোঁ বোঁ ঘুরছে অনেকের নিদ্রার ভেতর এখন তুমি কারো কারো ভয় ও মেঘের শহর
Facebook Comments Box