সময়ের পেটে ঢুকে পড়তে পড়তে সে টের পায় সময়টা কবে যেন পাল্টে গেছে। এ সেই শরৎ,আকাশে কাশ ফুল ভেসে বেড়াচ্ছে,নদীতে মেঘের ভেলা! অথচ আনন্দ কই,বড্ড গুমোট চারপাশ,যথারীতি সেও গোমড়াথোরিয়াম! বয়সের জুতোয় পা গলালেই কেন জানি না, নিজেকে দুঃখী রাজকুমার মনে হয়। অথবা,যে কোনো ট্র্যাজেডির নায়ক! আর,এসব চিন্তা করতে করতেই ঘুম নামে মহাকাশ জুড়ে । মহাপ্রলয়ের রাতে উঠেই সে টের পায় গ্রেগর সামসার মতই তারও জীবনটা বদলে গেছে! মাথায় মোজা, পায়ে টি শার্ট গলিয়ে সে বেরিয়ে পড়ে পথে। দশাশ্বমেধ থেকে শুরু করে সে পৌঁছতে চেষ্টা করে গোমুখ,ঘড়ির কাঁটা তখন বামে ঘুরছে,সেভাবেই হেমন্তের পর তার জীবনে শরতের অনুপ্রবেশ,আর সে তখন ভাসান থেকে আবাহন হয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে,আসলে লাটাই উড়ছে,ঘুড়ি তার হাতে ধরা। দুর্গার পুজো করছে অসুর,আর রাম পুড়ে যাচ্ছে দশেরায়! এ পূতিগন্ধময় আর্যাবতের যেভাবে আদিবাসী সত্যের কাছে উপনীত হতেই হত,আজ না হলে কখনও,নিকট ভবিষ্যৎ অন্তত এমনটাই দাবী রাখে। রাখে না?
অমল ধবল পালে তখন মন্দ মধুর নয়,বিপ্লবের হাওয়া লেগেছে… কবি লিখছেন গদ্য-গল্প,গল্পকার-ঔপন্যাসিক লিখছেন কবিতা।
যেমনটা দলের প্রয়োজনে,কলম্বিয়ান গোলকিপার হিগুয়েতা শুধুই আত্মরক্ষা নয়,বল নিয়ে মাঝ মাঠ অবধি কাউন্টার এটাকে,সেভাবেই আরও এক কাউন্টার এটাক বা সৃষ্টির প্রয়োজনেই এও এক বিপ্লব,
এবার ঐহিক অনলাইন এভাবেই ‘উলটপুরাণ’এ। লেখক,পাঠক,শুভানুধ্যায়ী সকলকেই উৎসবের শুভেচ্ছা।
*কারিগরি সহায়তাঃ মেঘ অদিতি,রোহণ কুদ্দুস
প্রচ্ছদ: মেঘ অদিতি