
(১) মনে করো আজ মহালয়া ... কোমল ধৈবত, আজ সমস্ত অ-সুখ নিয়ে কাছে এসে দাঁড়াও... দেখো, মাথায় রাখছি হাত, কখনো মাতৃরূপে, কখনো শান্তিরূপে - ওঠো ওঠো ওঠো! এই দেখো, আবার ঘুরে ফিরে কোলে-কাঁখে উঠে আসে স্নেহ, তবে তোমার কাছে তীর হয়েই দেখা দিচ্ছি আজ আর কুলোর বাতাসে প্রাণ-শক্তি যা ছিলো ভেসে যাচ্ছে যাক বিশ্বাস, কোমল ধৈবত, বিশ্বাস এই যে আপ্রাণ-স্বর বেজে যাচ্ছে ওই তো আকাশ-বাণী মর্ত্যলোককে কানে-কানে বলছে - একদিন হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে লাল চাদর নীল চাদরে ঢাকা এক ভোর আর একটা স্বপ্নের মতন মীড় দিয়ে কাছে আসা এত ভীড়, কোমল ধৈবত, এত এত শোনো, এবার মন্ডপে-প্রতিমায় - শোনো, এবার থেকে চুপটি করে হাত ধরে থেকো (২) কার্তুজ খোলা এক বন্দুক তোমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছি অস্ত্র নেই অস্ত্র নেই কত মহাকাব্য পড়ে তোমার শান্তি নষ্ট হল মেয়ে? কত মহারথীর আহ্বান - এসো পুষ্পে! নেই ফুল, নেই মালা, নেই বেদী বিসর্জনের সময় প্রান্তরেখা ধরে উড়তে শুরু করো কোথাও কোনও ঢেউ নেই জল ছপ-ছপ ভিজে খড়ের দ্বীপ অস্থি-ছাই আর কাঠামো-ভাসানোর রাত (৩) এই স্বর একাকীত্বহীন এই যে মন্ত্র, সমবেত তান এখন একবিংশ শতাব্দী দূরে গান বাজে (ভাসান-সঙ্গীত) 'সজীব করিব মহাশ্মশান'
Facebook Comments Box