ক্রান্তিকালের ডায়েরি অপমান ও অভিশাপে যে তুমি এসেছ তাকে দূরত্বে রাখি নানা উচ্চারণে ওগো দূর অযাচিত অতিথি-প্রলয় তোমাকে ভুলে যাবার হয়েছে সময় নানা মন্ত্রবানে ভাঙা হাত, ভাঙা পা খুঁড়িয়ে চলাটা খুব একান্ত উপাচার মনে মনে ভরে নেই নীল পাহাড়ের জল তারপর পথ চলা, কথা না বলা বিষাদ অন্বেষণে সেলাইয়ের সুচারু ফোঁড় কেউ এসেছিল, কেউ গিয়েছিল কেউ নাম ধরে ডেকে ডেকে ফিরে চেয়েছিল সেরকম চাওনি তুমি, লক্ষকোটি আয়োজনে দূরের ঘণ্টা বাজিয়ে ছিনিয়ে নিতে চেয়েছ জ্বলজ্বলে একটানা সমুদয় সুখ বিক্রিবাট্টা কত সস্তা অলিগলিতে নিজেরে বিক্রি করতে ঘুরি চিৎকার করে ডাকি- নেবেন, ন্যায্য মূল্যে ঠকবেন না একেবারে! কাছে গিয়ে কানে কানে ফিসফিস করেও বলি- খুব ভালো, সস্তা সহজ... নিয়েছে। বত্রিশ দাঁতে পিষতে পিষতে ঘাম-পুঁজে মিশতে মিশতে ঢেকুর তুলে পাশ ফিরেছে যখন খিদের ড্রাগন তখন ঠান্ডা হয়ে ঘুমাতে গেছে আবার খিদে জাগে, স্থির থাকতে দেয় না সে আবারও পথে নামায় পেট থেকে কয়েক ইঞ্চি নিচে লোভ দেখিয়ে রাক্ষসের বাজারে আবারও হাঁকিয়ে উঠি প্রতিবার বারবার, জনান্তিক সমান্তরাল! পেট শান্ত হয়ে ঘুমাতে যায় পাশে তার শুয়ে থাকে আগুন চাবুক প্রথম দিনের সংসার প্রথম দিনের সংসার ভেসে যায় প্রথম দিনের সংসার দম খায় দেবদূত অপেক্ষা, অন্তর বাজে রোদের সঙ্গে দর কষাকষি করে বিজলী বোন তোর হাতের রান্না করা সালুন পাঠিয়ে দিস আমার রাঁধতে ভালো লাগে না। ঝিমধরা লাটিমের শব্দ বোঁ-ও-ও-ও সারা রাত ভোঁ-কাট্টা কথাবার্তার স্রোত উড়ে যায় চারকোণায় খাটানো মশারীর ফ্রক একটু দেরি হয়ে গেল, প্রথম দিনেই ভুলভাল প্রথম দিনের সংসার আপাদমস্তক ডুবে যাচ্ছে, ভেসে যাচ্ছে! নামতা চক্রে বাঁক নিচ্ছে একটি ফসলি মাঠের অনুঘ্রাণে আপাদমস্তক একা একা পাক খায় কে যে আছে, কে নেই, জানা নেই সমুদ্র উপকূলে ঝিনুক কুড়াবে বলে একদিন গান ধরেছিল, সেখানে ঘোড়দৌড় অবাধ্য ঘূর্ণি ঝোঁকে কথার চাবুক কে আছো ওকে ধর, ওকে টেনে তোলো
Facebook Comments Box