কুয়াশা ও আমার হতাশার ভাষা, আড়মোড়া ভেঙেছে জিন্দালাশ। কোনো গ্যাস-চেম্বারের হলুদ কুয়াশা ক’রে মরে আমার তালাশ... একটা হাল্কা-গোলাপি শিশি-র থেকে তুমি গোপন ফোকরে চোখের চামচে ক’রে চেখেছ শিশির চরণামৃতের মতো ক’রে, যে-রাত পালাল লাল চাঁদের পশ্চাতে, যে-রিরংসা চক্ষুশ্চ্যুত, হায়, জন্মমাত্র পস্তাতে-পস্তাতে ঈশ্বরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়, সে কোথাও দিচ্ছে শিস, যেন কোনো ভূত এসেছে অতীত থেকে ফিরে বুকে নিয়ে মরুর মরুৎ— সৎকার করো গো অতিথিরে। দ্যাখো, এই-যে এক-আগোল মহুয়া এনেছি, লোবানের বাসনা-সাবান; জোনাকিতে-জোনাকিতে কী-যে চেঁচামেচি গতরাত, কামেঘামে আমিও হয়রান! দেবী, এবে মাগি তব কুয়াশার বুকে দু’দণ্ডের দুধের শুশ্রূষা, ক্ষুৎপিপাসা গেলে চুকেবুকে আমি ডাকব, সাড়া দেবে পূষা! সবই হিরা-পরিপাটি! যেন ব্রহ্মা নিজ- হাতে করছে নিজের রচনা! তবু, ভাষা-উপড়ে-তোলা বৈখরী খনিজ অচেনার চোখেও অচেনা… লোবাঞ্চুষ আমি চুষি— কী-তিতা, মা গো! আমি ছুটি, কাছায় আগুন— পিছে ছোটে ইতর-জনাঃ— মনোলাভা— টগবগ খুন!
Facebook Comments Box