সংবাদ
নৈঃশব্দ্যের অন্তরে ধুলোপড়া ছুঁড়ে দিই। কী এত মশগুল তুমি! সে যেন জানে না তার গ্রন্থিজটে আমিও কখন একা হয়ে গেছি। এদিকে চিরে চিরে সাইরেন বেজে পুরোনো হিংসাগুলো আকাশ থেকে ভারী বস্তার মতো ঝরে পড়ছে। কোথাও তো থামতে হবে – অজানায় মুখোমুখি দুটি কাতর চেয়ার হাওয়ায় কাঁপছে।
.
.
পরি কথা
কথা বলি না, তার ভাব ছুঁয়ে থাকি। নীল পরির মধ্যাহ্নে হাত রাখলেই পুড়ে যায় দুটি হাত। তার চোখের গোলক নেই, বুকের বাঁধন নেই – তার সংগোপনা মুক্ত হতে হতে ক্রমে অস্থির করে তোলে আমায়। অলাতচক্রের রাত ফুরিয়ে আসে। আরও কিছু পথ পার হলেই ঘর, তবে তাকে সঙ্গে নিলে সে তোমায় জগৎ ভোলাবে।
.
.
উমা
উমাকে তো তোমরা জান সবাই। সে যত দেবী, ততই একা। সন্তানেরা মাথায় করে রেখেছে তাকে, তবু কোথাও কেউ নেই তার। সাতমহলা বাড়ি জুড়ে ধু-ধু অন্ধকার। সন্ধে হলে যখন সে হারিয়ে যেতে নদীর ঘন জলে পা ডুবিয়ে রাখে, আমি তার জোছনাভেজা ছলছল দু’চোখ দেখতে পাই। ভাবি, একদিন আমাদের ভোলানাথ ঢেউ ভেঙে ঠিক তাকে বুকে টেনে নেবে!