হেমন্ত এই পথে হেমন্ত দেখা নিজেকেই ছুঁতে ছুঁতে বীতশ্রদ্ধ চোখ কুয়াশার রাশভারী স্বভাব চেনায়। কোনো কিশোরীর পাখি যেভাবে শীর্ণ হতে হতে গাছেই লুকলো সেভাবেই অনিমেষ সাজি। তোমরা আমায় কবে খুঁজে পাবে সাড়ায় সাড়ায় আমি ক্রমে নিশুতির ডাক হয়ে উঠি। আমার সে ছোট মেয়ে শরীরেই বসিয়েছি নদী ইতস্তত গতি জুড়ে মায়েদের নৌকো কেনা ভিড় সামলাতে থাকি। অযথা কার্তিকের লোভে যে নাভি গড়িয়ে গেছে জলে তার পচন, ছাঁচ, আদল চিনে চিনে নৌকোগামী করা এইতো কাজ। শরীরের সামান্য বিদেশে, একরোখা বসে থাকে মেয়েটি নাইতে চায় না, জন্মাতেও চায় না আর। স্বাদ বাকল যতোই নরম হোক, জেনো একটু ধূসর থাকবেই গাছের গতরে নাহলে আর মাটির প্রলেপ কেন আহা, কান্না ও আমার মেয়ে নিজের নেশাভরা আঁচল পেতে আমার গল্প পড়ে চলে কোন বাপজন্মে কইমাছের প্রাণ শিখিয়েছে মা তারপর থেকে আহা এই জীবন আর ছাড়তেই পারছি না। কত খড়ম পার হলো কত বুদ্ধ পেরিয়ে গেল শরীর তবু মেয়ের আমার স্বাদ ফুরলো না। যত্ন ভীষণ অলিখিত সেজে থাকছো যেন বসন্তের ঘরে শীতের মেলামেশা শান্ত হতে হতে কবে বিপন্ন হয়ে যাবে সেই ভয়ে জড়িয়ে থাকি রোজ শাসন করি দু'এক পশলা বৃষ্টির এই যে শিশিরের টিপ ছুঁইয়ে দেওয়া জানালা ঠেলে রোদ শুধু তো তোমায় জাগানো নয়, সামান্য ব্যক্তিগত কুয়াশা বাঁচাতে তোমার পৌষমাস কাটানো জরুরী। স্বভাব এভাবে ফিরতে দেখে রোজ কত ধানমণ্ডি জুড়ে ফসলের প্রভাতফেরী বাঁকের পথেই নদী শ্যাওলা,সাপ সরে সরে আসে, থেমেছে বাপের শব থেমেছে সাঁকোর পাটাতন পেরনোর পথে এরা সঙ্গেই আসবে ভেবেছে। ছায়ায় তক্ষক শুয়ে অনির্ণেয় প্রাচীন স্বভাবী সে জানে, যে আসে সে'ও ক্রমে এক অপেক্ষা হয়ে যাবে। টোপ এসব শীর্ণকথা তুমি ফুরনোর আগে এই নাও ঘৃতের সুবাস ডানহাতে বিপদতারিণী। হিমবাহে লুকনো জড়তা কাটিয়ে দিচ্ছি, এসো, স্বভাবের কাছাকাছি বসি কপালে তোমার নদী আমার চুম্বন জুড়ে যেটুকু শ্মশান ধুয়ে দিই, ভাতজন্ম শুরু অন্তত হোক। অবলম্বন, এক লোভনীয় হোটেলের চাবি। দেখো তুমি মৃত নক্ষত্রের স্বপ্ন আর দেখবে না।
Facebook Comments Box