ডাকবাক্স কৃষ্ণচুড়ার ছায়া কাঁপছে শিরশির সুর নেমেছে আকাশ থেকে আমার কানে বাজছে তিরতির চিঠি নিয়ে,ঘরে ফেরার,অপার সুখে। নীরবতার বিচ্ছিন্নতার, ছায়ার নীচে হাঁ -করা সেই ডাকবাক্স,বড্ড লাল নীল খামেতে,তোমার চিঠি, তার তলায় খামের উপর, তোমার হাতের সৃষ্টি ছাপ, এঁকেছ তুমি,নতুন দিনের দরজা খোলার চাবি সময় কাটাই, একলা-সময়,নিরালায়। সেসব দিনে,আগুন রঙা শিমুল ফুল শুকনো পাতার বাউকুড়ানি,ভরদুপুরে ঝরাপাতার আলুথালু ভাববেলায় কী যে দিলাম, কী বা পেলাম, জানিনে। শীতের জ্যোৎস্নায় বাতাবিলেবুর গাছটির সঙ্গে জড়ানো কিছু শ্বাস আর দীর্ঘশ্বাসে, কিছু বিস্মৃত দিন আকাশজোড়া জ্যোৎস্না ঝিমঝিম পথের ধারে, পাতার ফাঁকে, রক্ত জবা অথবা শীতের জ্যোৎস্নায় ঘন কুয়াশা হারিয়ে যেতে যেতে,পরিচয়হীন। অতীত,তোমার রহস্যময় পথের মাঝে আমি কী ছিলাম কোনোদিন! ঝকঝকে সবুজ জোনাকির ঝাঁকে কী প্রত্যয়ে অন্ধকার জড়িয়ে থাকে, অতীত ও আমি,মিশে না আমাতে সেখানে, আমি কী ছিলাম কোনোদিন! সময় সময়কে যতদূর দেখা যায়— দেখি— অ্যালবামের গোপন উৎসাহের ভিতর। দাম্পত্যের ছবিগুলোতে— এক গাঢ় অতীতের সুঘ্রাণ চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে। একটি স্পষ্ট ছবির মুখোমুখি —দাঁড়ালাম। আমার মুখটা ওফেলিয়া, হাত-পা বাঁধা — জলে ডুবে যাচ্ছি। আর তোমার চোখ দুটি দেখছে সেই দৃশ্য— সুস্থির, কালো বিড়ালের চোখ
Facebook Comments Box