ছাদ
জীবনে আছে ছাদ। ভাঙাচোরার দোতলায়, ঘুপচির ঠিক ওপরেই এই ছাদ। ছাদ মানে মধুপুর। ছাদ লাক্ষাদ্বীপ কিংবা মালাবার উপকূল। ছাদ হল গিয়ে শৈশব । নিজের সঙ্গে দেখা করবার এই একটিমাত্র স্থান আমার।
ছাদে ফুলগাছ বলতে নয়নতারা , গাঁদা , গোলাপ , জুঁই , বেলি, কুন্দ, জবা। আবার একটা শিউলিফুলের গাছও আছে। আছে বেশ কিছু পাতাবাহার। ছাদের আকাশে রঙধনুর সঙ্গে ঘুড়িদের হামেশাই ঠোক্কর লাগে। একঝাঁক টিয়াপাখি উড়ে উড়ে আসবে। আবার কোকিলা ডেকে উঠবে ঝুঁকে পড়া আমগাছের পাতার আড়াল থেকে। একবার কোথা থেকে এসেছিল নীল একজন প্রজাপতি কে জানে। সে রঙ্গনফুলের মধু খেতো ডানা মুড়ে বসে।
শেষ রাত্রিতে আচমকা ঘুম ভেঙে গেলে , যখন ছাদে উঠে আসি তখন আশ্চর্য সব অলৌকিকের দেখা মেলে। হয়ত তিনজন ফকির আকাশপথে ওই উড়ে চলেছেন আসনের পরে বসে। কখনো আবার অদ্ভুত একটি যান উড়ে গেলো। গোল মতো। তাতে নানান রকম আলো জ্বলছে নিভছে। সেরকম যান পৃথিবীর নয় তো। দূর কোনো গ্রহ থেকে ভেসে এসেছে হয়ত। আর আজ সক্কাল সক্কাল ছাদে উঠেই আমার দেখা হয়ে গেল শরৎকালের সঙ্গে।
রোদের রঙ দিয়ে চেনা শরৎকাল। কী যে আছে এই রোদে , এই সব সকালবেলার! শরৎকালের রঙে মাকে মিশে থাকতে দেখি। মায়ের ডাক। মায়ের শাড়ি মেলে দেওয়া। হাসি। চুড়ির শব্দ রিনঠিন। ছাদে উঠলেই দেখি আকাশ নেমে এসেছে নিকটে। আকাশের মধ্যে খোলা জানলা। ওই জানলা দিয়ে দেখা ওপারের সব ঘরবাড়ি। শিউলিফুলের চেনাপরিচিত একটি গাছ। স্থলপদ্ম ফুটে আছে। কাশফুল দুলছে বাতাসে । সবকিছু মিলিয়ে তবেই মায়ের আদল । এমনকি রাত্তিরবেলায়ও। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে। মায়ের পাশে বাবা। অন্ধকারে স্পষ্ট দেখা যায় জ্বল জ্বল করে নক্ষত্ররা দেখছে আমাকে। শরৎকালের অঙ্গে অঙ্গে মাকে খুঁজে পেয়ে জাপটে ধরি। আর কোনোদিন ছাড়ব না তোমাকে । তোমার লক্ষ্মীঠাকুরের মতোন পায়ের পাতায় শিউলির অঞ্জলি দেবো। দু চোখের করুণাধারায় তর্পণ করব পূর্ব জন্মদের।
ছাদ জীবনে থাকলে মনের কথা খুলে বলা যায় তাকে । ভরসা করে । বিশ্বাস নিয়ে । অনর্গল কথা জেগে ওঠে ভিতরে ভিতরে , অন্ধকার অন্ধকার রক্তজমেথাকা কথা । কিংবা এ জন্মের জলতরঙ্গ , একবাক্স প্যাস্টালকালার , জন্মদিনের চেরি কেক , দু হাতে আগলে রাখা আয়ুমোমবাতির শিখা , রেশমের সুতো, টিপের পাতা , বুকে বিঁধে থাকা কার যেন দুচোখ —সে কথাও ছাদের কানে কানে বলে রাখা যায় । নির্দ্বিধায় । শরতের পরেই হেমন্ত । হেমন্তের বুক থেকে ভেসে আসা ছাতিমের ঘ্রাণ । সকল বাড়িতে গোধূলিলগ্নে জ্বলে ওঠা রূপকথার টুনিলাইট । তখন ইভান ইলিচের মতোন মৃত্যুভয় গাঢ় হয় আমারও । ইচ্ছেই করে না সুন্দর এই জীবনকে ছেড়ে যেতে ।
এক একদিন গারোয়াল হিমালয় থেকে বাতাস ভেসে আসে । ঝিরঝির ঝিরঝির । অনেকটা ফিসফিস কথাবার্তার মতো । হিমেল বাতাস বয় । তুষারের নীল গন্ধে আমার ভিতরটা কেমন শান্ত হয়ে যায় । আকাশের সঙ্গে মিশে যাই বুঝি । নিজের বলতে কি আর থাকে তখন ! নিজের বলতে সত্যিই কি কিছু আছে ? যে দেহ নিজের ভাবি , সেও অবাধ্য । এইমাত্র কিশোরী তো এই বৃদ্ধা । এই তো দেহের ঘড়িতে বাজল বেলা সাড়ে নটা ,আবার কখন গড়িয়ে গেল বিকেল । কমলালেবু গড়াতে গড়াতে নেমে গেল ঢালুর দিকে ।
ছাদের সঙ্গে থাকলে — কেবল পৃথিবী গ্রহটি নয় , আরো সমস্ত গ্রহনক্ষত্র — দূর দুরান্তের , তাদেরও সঙ্গে থাকা যায় । মরোলোক আর পরলোকের মাঝে থেকে সরে যাবে পর্দা মাঝে মাঝে । ছোটমাসি ডেকে উঠবে আমাকেই । “নেই” বলে আর কিছু নেই বুঝি ! ছোটমাসির ঝিলমিল হাসি সব ভার মুছিয়ে দেবে মনের । মা, বাবুজি , ছোটমাসি , রাঙাপিসি , ঠাকুমা যে যেমন ছিল ঠিক তেমনটাই আছে তো ! গুনগুন করি একটু , ‘এ জীবনে যদি কিছু হারায়ে থাকি , এ ভুবনে জানি জানি যাবে না ফাঁকি ….’ অনন্তের তখন কি বা শুরু আর কোথায় বা থামা ।
রাত কটা বাজে ? হয়ত এগারোটা । বারোটাও হতে পারে । কেমন যেন ছটফট করছে মন ছাদের টানে । চুপি চুপি উঠে আসি । এসে দেখি জ্যোৎস্নায় কেমন রহস্য রহস্য , শিরশির করে ওঠা । চাঁদ খুব কাছেই । আমাকে দেখছে অন্যরকম দৃষ্টিতে । শুনতে পাই চন্দ্রদেব আমাকে ডাকছেন :রোহিনী….রোহিনী …. রোহিনী …. সম্মোহিত হয়ে পড়ি । এই জ্যোৎস্নালোকে কোথায় ভেসে যাব জানি না তো !
ঘড়ির নির্দেশ
চোখ । ‘নয়ন’ বলে ডাকো যদি তো সাড়া দেবে মন । আকাশ বাতাস তন্ন তন্ন খুঁজে মন ছুটে যাবে আলোর থেকেও বেশি গতিতে । স্বাতীনক্ষত্রকে ছুঁতে তার লাগবে এক পল । ও কালপুরুষ , তোমার লুব্ধককেও সে দেবে ছুঁয়ে । কখনো বা চলে যাবে অতি দূর অরণ্যের গভীরে । অনেক যুগ আগে । কোনো এক পাহাড়ের কোলে সে দেখতে পাবে নিজেকে । তখন সে কি ভাষায় কথা বলত ? নাহ ! মনে নেই কি ভাষায় সে জন্মের পরে ডেকেছিল মা আর বাবাকে । প্রথম জানিয়েছিল প্রেম । অভিমান । স্নেহ । কি করে মনে পড়বে ? কত যুগ পার হয়ে গেছে । ভাষা বদলে গেছে । নদীর বুকে ঢেউয়ের ছলাৎ লেগে , বাতাসের ঝলক লেগে যেমন ক্ষয়ে যায় পাথর , তেমনি ভাষাও ভেঙে- জুড়ে -মিশে গতি পায় । এগিয়ে চলে । অনেক রাত্রিতে তুষারশুভ্র পাহাড়ের শৃঙ্গে বসে মহেশ্বর , এ জগতের এক প্রান্তের ভাষার সঙ্গে আরেক প্রান্তের ভাষার বিবাহ দেন ।
কত যুদ্ধ , বাণিজ্য , এক দেশ থেকে আরেক দেশে বসতি বিস্তার । দূর গান্ধার দেশের কন্যা এলেন হস্তীনাপুরে । সঙ্গে সঙ্গে এল আত্মীয়স্বজন দাসদাসী পাত্রমিত্র। বিবাহ কেবল দুজন মানুষের তো নয় । একটি নদীর সঙ্গে আর একটি নদের । এক উপত্যকার সঙ্গে আর এক উপত্যকার । একরকমের কায়দার সঙ্গে আরেক রকমের কায়দার । একটি ভাষার সঙ্গে মিশে যায় অন্য ভাষার শব্দরা । ভাষা সামনে এগিয়ে চলে । দাঁড়ি- কমা -ফুলস্টপ-বিষ্ময়চিহ্ন — ট্রাফিক পুলিশের মতো হাত দেখায় । সিগন্যাল দেয় । কিনতু তারও পরে আমি দেখেছি কী প্রকান্ড এক ঘড়ি ভাষাকে নির্দেশ দেয় । কথা বলার ভাষায় বীজ বপন করলে ছোট্ট ছোট্ট লেখাগাছের চারা ছেয়ে দেয় প্রান্তর । লেখায় ফুটে ওঠে স্বতন্ত্র স্বর ।
আমি আর নেফারতিতি দুজন ভিন্ন মানুষ । ভাবনা ভিন্ন আমাদের । আমি ভারতবর্ষের আর সে গ্রীসদেশের । আমাদের স্বরে তাই আলাদা আলাদা টান । তবু এই সময়কে , এখনকার সূর্যের আলোকে , এখনকার পথের ধূলিকে , দোকান বাজার , অটোরিকশা , সেভেন্টি এইট-ই বাস , নৈহাটি বা বনগাঁলোকাল , জটিলতা সরলতাকে ধরে রাখি যে লেখায় , তা তো ওই ঘড়ির নির্দেশ মেনেই । কখনো তবু অতীতকালের ভাষার ছায়া ফিরে আসতে চায় এই সময়ে ।
মা চলে যাওয়ার পর যখন সব কিছুই ফাঁকা লাগে , কিছুতেই নিজেকে আর খাপ খাওয়াতে পারি না নিত্যজীবনের সঙ্গে , আমি ‘পড়ি অন্নপূর্ণা ও শুভকাল’ বইটি । পড়ি ‘রসাতল’ । গৌতম বসুর কবিতার ভাষা আমার শূন্যতার পাশে এসে দাঁড়ায় । শান্ত , গভীর এক স্বর । কী যে আরাম পাই । কি একটা আশ্রয় । কোনো কবিতার ভাষায় এই রকম ভরসা ,এই রকম বিশ্বাস , ফিরে পেলে আবার একটু অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় বেঁচে থাকবার ।
একবার কলকাতার লিটিল ম্যাগাজিন মেলায় , সন্ধে নামছে । আচমকাই দেখা প্রিয় কবির সঙ্গে । গৌতম বসু । বললাম, আপনার লেখা আমার মাতৃশোকের পাশে ছিল । উনি জানতে চাইলেন মায়ের কথা । আমার কথা ।
কিন্তু পরের বছর লিটিল ম্যাগাজিন মেলায় আর দেখা হল না । ইহজগতে দেখা হওয়ার আর সম্ভাবনাও রইল না ।
নয়ন মেলে যায় যখন … তখনই ভাষার ঘড়ি আমাকে নির্দেশ দেয় । অতীত মিশে যায় সমসময়ের সঙ্গে । পলকে ছুঁয়ে দিতে পারি চাঁদের একাকীত্বকে । তখনই তো দেখা হয়ে যায় কবির সঙ্গে পাঠকের । জানতে চাই , চিন্তার ভাষার উৎস কি ? বেদনার সে ধ্বনি , কেমন ? কেমন করে ভাষায় প্রকাশ করি ওই মনসিজ আমি ! আশ্চর্য ! গৌতম বসুকে ঘিরে দেখি এমন এক মৃদু মৃদু হাসির আলো , আলোর বলয় — এই কি উত্তর তবে ? নীরবতার ভাষার সামনে নত হই । প্রহর বেজে ওঠে ।
ভাষার বাইরে কোনো আকাশ নেই । নদীর বুকের পরে বৃক্ষটি ঝুঁকে পড়েছে । ঘরে ফিরে যাচ্ছে পাখিরা । কবিতার ভাষায় মহেশ্বর বিবাহ দিচ্ছেন মহাসমারোহে , তার উলুধ্বনি
আমাকে বহুদিন পরে প্ররোচনা দিচ্ছে লিখবার , আমার স্বর আমি নদীর অতল থেকে তুলে নিতে পারি যেন !!
—
নিরুদ্দেশ
একদিন ভোরে বাড়ির বাইরে পা রাখব । মন খারাপের হাত ধরে । কেননা মন খারাপই একমাত্র বন্ধু । বিপদে আপদে সব সময় সে পাশে থাকে ।
ভোর তো । অন্ধকার একেবারে মুছে যায়নি । দেখা যায় ইঁটের রাস্তা । ঘরবাড়ি । গাছপালা । আকাশে তারারা রাতকে বিদায় জানাচ্ছে । চোখের জলের মতো টলটল করছে ওরা । ঝরে যাওয়ার আগে । ঘুম ঘুম কি যেন নীলরঙ চারপাশে । বাইরেকে আমি একটু ভয় পাই । অচেনা লাগে । মনে হয় আমার হযবরল স্বভাব আর রংচটা জামার জন্যে কেউই তেমন পছন্দ করে না । তাই নিজের মতো একা একা এই গোলবাড়ির গোলদরজা এঁটে থাকতেই ভাল লাগে । অবশ্য তাতেও শান্তি নেই । বাড়িটাই আমার চশমা কেড়ে নেয় । কেড়ে নেয় ভেন্টিলেটর , জানলা , ছাদ । কাচ- পেরেক- সাপ-কাঁকড়াবিছে ছেড়ে দেয় । ঠিক তখন কে যে দেয় ডাক । এই পথ , এই শহর , উড়ালপুল , শপিং মল , আধুনিক মানুষের আধুনিক কথাবার্তা পেরিয়ে , আরো দূর থেকে ভেসে আসে সে ডাক । অনেক সময়কাল আগের কিংবা পরের থেকে হয়ত । আকাশে এমন করে নীল আলো উথলে ওঠে — কিছুতেই ঘরে টেঁকে না মন । ইচ্ছে করে সরে যাই অনেক দূরে ।
পৃথিবীর কিনারায় । এক পা এগোলেই মহা মহা শূন্য । গাঢ় তিমির । নাহ এক্ষুণি ওই শূন্যে না হয় নাই ভেসে পড়লাম । দুটো দিন না হয় কাটিয়ে দিই আরো এই দেহমনের সংসারে । যাই তবে স্থলভাগ আর জলভাগের ঠিক মাঝবরাবর : আশ্চর্যলোকে । কী মায়াবী দ্বীপপুঞ্জ ! চারপাশে সমুদ্রের পাহারা । এখানে কেউ চেনে না আমাকে । আমিও নিজের সম্পর্কে কিছুই মনে করতে পারি না । যেন শুরু করছি নতুন জীবন । নিশ্বাস নিচ্ছি তাজা বাতাসে । বুকভরে । স্মৃতি নেই , নাম নেই , পরিচয় নেই , ঘড়ি নেই । তবে একটু কথা বলতে ইচ্ছে করছে । সমুদ্রের একটি জাহাজ ভাসতে ভাসতে এসে এখানে নোঙর ফেলেছে সবে । শুরু হচ্ছে দিন । আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে ধীরে মানুষজন ব্যস্ত হয়ে পড়ছে । আচ্ছা , আমি মনে মনে আশ্চর্যলোক নাম দিলেও , আসলে এই দ্বীপটার নাম কি ?
এখানকার মানুষজনের অন্যরকম ভাষা । ব্যবহার । বাণিজ্য । একটু ইতিহাস ইতিহাস গন্ধমাখা । একদম অচেনা আমার । খুব অবাক হয়ে গেছি আমি । তবে কি নিজের কাছেই হারিয়ে গেলাম ? কিছু মনে নেই কেন ? আমি কি মনে মনে চাইছি কেউ আমাকে দেখুক । কিছু বলুক । খেয়াল করুক একটু । একই জীবনে নতুন করে জীবন শুরু করা যাবে কিনা বলুক না হয় ।
কেবল মনখারাপ আমাকে ছাড়েনি । গলার কাছে কান্না আটকে রয়েছে । যদিও কিসের কারণে তা জানা নেই । সমুদ্রের কাছে যাই । জলের ভিতর দিয়ে নীলের অন্তর ছুঁয়ে হেঁটে যাই … যাচ্ছি ।
আরো গভীরে , আরো … আমাকে নাও সমুদ্র । নাম নেই , পরিচয় নেই । স্মৃতি নেই । সম্পর্ক নেই । সমুদ্র , আমি তো নিজের থেকে পালিয়ে যেতে পারছি না । তুমি উদ্ধার করো । এত সুন্দর নীল রং। বুকের ভিতর রিণ রিণ করে উঠছে দেখে । রঙ তো নয় যেন চুম্বক । প্রেম যেমন সর্বনাশে টানে …. তেমন করেই নাও , ও সমুদ্র , ও সমুদ্দুর !
এতক্ষণে এই অচেনা দ্বীপের অচেনা কিছু মানুষ দেখতে পেয়েছে । ফিরে যেতে বলছে আমাকে। ডাকছে। এগিয়েও আসছে ওই । এখন যে কি করব ! ফিরে যাব? লোনা সম্পর্কের আঁশটে গন্ধে আবার ? ভালোবাসবার ভয়ের ভিতরে যাব ফিরে ?
সূর্য তীব্র হয়েছেন । রৌদ্রে শাসন । সোয়ালোরা ঢেউয়ের ফেনায় ফেনায় নাচছে । মানুষের গুঞ্জন থেকে বেঁচেথাকার ভাপ উঠছে । আকাশে সাঁতার দেয় কথার মেঘেরা । এই কি সুন্দর ?এই কি নিরুদ্দেশ ? এখানে কে আমি ?আর কেই বা তা জানতে চায় । আরে ! যারা এগিয়ে আসছে আমাকে দেখে , তাদেরই একজনের চোখের মণিতে আমার ছায়া পড়েছে … কেন সরিয়ে নিতে পারছি না চোখ , ওই চোখ দুটি থেকে ? কিছুতেই ?
1Comment
October 12, 2022 at 5:47 am
অনবদ্য ! কবিতার মতো, একটা মনখারাপ করা ভালোলাগা ছুঁয়ে গেল।