কনফ্যুসান রাতের গহীনে অমীমাংসিত সত্যরা যেন ফ্রেমে বাঁধানো ছবি হয়ে যায় খরাবনের সেই ছবিতে ঘুমের বীজ বপন করে অপেক্ষায় থাকি অনার্য কৃষকের মত যেমন ফসল নিয়ে থাকে তাদের সরল সংশয় একদিন বলেছিলে এক নদী দুঃখ পেরুলে গহীন থেকে আরো গহীন মোহনায় খেলবে লুকোচুরি কিংবা বেহুলার ভাসান গাইতে গাইতে আমরা পৃথিবীর দুঃখ বেচে পাতব পাতার সংসার কে না জানে ভূমির ন্যায্য উত্তরাধিকারের প্রশ্নে অনার্যরাই অদ্বিতীয় হায় পুণ্য! কেবল তোমার ধারাপাতে বিজয়ী হবার লোভেই এমন একদিন আসবে, যেদিন- অফসলি রাতের স্তব্ধতায় স্বঘোষিত রাজাধিরাজও কনফ্যুসানে বসবে সেই বাঁধানো ফ্রেমের সামনে। রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনের কাজের পথে রাশ চলছে জীবন, স্বাধীন বারোমাস ক্লান্ত-বুকে সকল কাজের পরে আলো নিভলে ফিরি অন্ধ-ঘরে যখন আমি গাছের মতো স্থাবর শাখায় শাখায় পাতার মর্মর বেশ তো থাকি মর্মরিত সুরে আলোর নাচন নাচে অন্তঃপুরে। যখন আমি পথিক বিহীন অনাথ আসেন রাতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ আমার যত কথা, গোপন কিছু নাই অকৃপণে তাঁরেই আমি জানাই। নিত্যদিনের খবর আসছে কানে ছুটছে জীবন মহামারীর পানে থামাও তোমার ভয়াবহ থাবা জীবন গানে ফুটে উঠুক জবা মা ও মধ্যাহ্ন ভোজ মুহুর্তের জন্য আটকা পড়ে গেছি গ্যাড়াকলের লালবাতিতে যেন গাড়ী মিছিলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে অনন্ত আকাশ এফ এম ব্যান্ডের গান, ভুলভাল কথামালা, মোবাইল গেইম সব কিছুই যখন ক্ষুধার কাছে পানসে হঠাত চারিদিকে তাকিয়ে দেখি, বন্দুকের ভারে ন্যুব্জ সেপাই দাঁড়িয়ে আছে ন্যাড়া বৃক্ষতলে অথচ পাশ দিয়ে হেঁটে যায় রাধাচুড়া, কৃষ্ণচূড়া, জারুল এর সঘন ছায়া। ক্ষুধার্ত মা আমার, অপেক্ষায় আছেন- অথচ ডায়াবেটিক খাদ্যের তাড়নায় হোলি খেলছে তাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে তবু তিনি উপুড় করা প্লেট কিছুতেই উল্টাবেন না। অপেক্ষমাণ মধ্যাহ্ন ভোজে না বসে তিনি গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকবেন যেখানে দাড়ালে তাঁর সন্তানের গন্ধ পাওয়া যাবে বাতাসের আগে। অবশেষে, সামনে এগুনোর ছাড়পত্র পেলাম- কবজি উল্টিয়ে সময় নির্ণয়কে আগ্রাসী দখল করেছে মোবাইল যুগ, স্পর্শ করে দেখি- মধ্যাহ্ন তার শেষ প্রান্ত নিয়ে হ্যান্ডশেক করছে বৈকালিক রমনার সবুজ ঘাসে। ভাতঘুম বিকেলে মা আমার বৃষ্টি হাতে বসে থাকে শুকনো মুখটি বুকে টেনে নেবার অপেক্ষায় ।।
Facebook Comments Box