নশ্বর বাঁচতে চাই এ সংসার নশ্বরতা ছেড়ে আকাশসাঁকোটি পেরোতে চেয়েছি ধাক্কা খেয়ে নীচে পড়ে যাই আবার ওঠার চেষ্টা করি বুঝে যাই পতনশীলতা রক্তে পেয়েছে প্রশ্রয় এ সময় বিষণ্ণতা আমার আশ্রয় আমি তাকে প্রতিপালনের কথা বলি বলি দ্যাখো এই ভঙ্গুর শরীর উপশমহীন যাকিছু বাঁচিয়ে রাখে তা হল মেধার প্রবঞ্চনা এভাবেই ছোট্ট এ সংসার ভরে ওঠে সন্দেহের সবুজ বাগানে, শস্যে, ফলে হোঁচট খাওয়ার পর আজ পুনরায় প্রবল অনিশ্চিতের গায়ে ঠেস দিয়ে আমি ঘুমোতে চেয়েছি টের পাই শরীরের মধ্যে কোনো শরীর জেগেছে খুলে গেছে স্নানঘর থেকে সহস্র জলের ধারা প্রশান্ত রসের থেকে করুণ রসের উৎসমুখ আমি বাঁচি হর্ষে ও বিষাদে বাঁচি ও বাঁচিয়ে রাখি হোঁচটবিলাস বাঁচিয়ে রেখেছি দেখি সংসারবিভ্রাট ঘুম পায়, কঠিন শ্রমের মতো কবিতাও পায় অনশ্বর কাব্যপুথি হাতে নশ্বর বাঁচাও চাই! অশরীরী শূন্যতাকে আঁকিবুকি কেটে ভরে তুলি, তাদের ভিতর জমে ম্লান মেঘ। বৃষ্টি আজ ইলশেগুঁড়ি বলে সতর্ক শব্দেরা শুধু সাদা পাতা ভিজে যায় লুপ্ত সভ্যতার অশরীরী ছায়াগুলো কেঁপে কেঁপে ওঠে। গোধূলি সন্ধ্যার ভ্রম ধরাতল কুয়াশাবিভ্রম ভরিয়ে তুলেছে খাতা অজস্র অক্ষর তুমিই বা কেন রুদ্ধবাক স্তব্ধতার এই কাল গোধূলি-উত্তর। অবদমনের ছায়া মুখে এসে পড়ে অন্ধকারে জমে ধুলো, শ্লেষ চেনা পথও এমন অচেনা যতই এগোয়, বাড়ে পথশ্রম, ক্লেশ। এই পথ শুধু ভালোবাসাহীন নয় প্রতি পদে ঘৃণার আবহ প্রকৃতিও হিংস্র, অকরুণ তবুয়ো এগোয় কেউ, বিষাদবিগ্রহ! অচেতন ভেতরে আমার, ঠিক বিপ্রতীপ কোণে যে আমি সহজ, শান্ত, তার তীব্র শ্লেষ টের পাই। উষা নতুন শতক তার দু’দুটি দশক হাতে স্থির চেয়ে আছে ভাষাহীন তাকে দেখে খুঁজি তার ঠোঁটের অনুচ্চারিত ভাষা চেয়ে দেখি তার মধ্যে থেকে গেছে অনেক অজানা স্তর নির্ণয় দুরূহ অতি, দু’দশকে এত শিলা, এতটা নিরাশা ! এ সব পেরিয়ে তবে জলস্তর, ভূগর্ভের নদী, বালি, কাদা দেখি অবিহিত কাল, বর্তমান, আর এক অপগ্রহ-খনি কাটে না সময়দোষ, দুষ্ট গ্রহকাল, আমরা ভুলেছি দ্যাখো প্যাপিরাস মুড়ে রাখা প্রপিতামহের স্মৃতি বৈদুর্যের মণি! যতটা বিস্ফার দেখি, ততটাই দেখি অন্ধকার, এই রাতে যতটা আকাশ দেখি, ততটাই দেখি এক শূন্যতার দাহ হত্যার ইশারা নিয়ে ছদ্ম রাক্ষসের ছায়া মেতেছে সংঘাতে অবরুদ্ধ কথা, প্রহর মৃত্যুর জেনে গলে স্নেহ, হিমবাহ নৃত্যের মুদ্রার মতো ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে দিন শুরু উষাকালে অসম্পূর্ণ, যদি না পাথর ফুঁড়ে ঝর্না নামে রূপের আড়ালে এই অন্ধকারে আশাহত চিবুক নেমে এসেছে বুকে। দেওয়ালে ছবির মত আঁকা ঘুম। সে ঘুম আমাদের নয়। প্রতিবার নিজেকে বলি এই শেষ কবিতার দিন। চারিদিকে ছায়া রং। আমাদের মেয়েরা বুকে ঝুলিয়েছে শোক। দিন শেষ হয়ে গেছে মেঘের আড়ালে। এখন আর কেউ সমুদ্রে যাবে না। দূর থেকে বম্বস্কোয়াডের গর্জন শোনা যাচ্ছে আমাদের হাড়ের ভিতর। রাত্রি হেঁচকি তুলছে মাতালের মতো জঙ্গলের পাশে। আর্ত চিৎকার করছে নারীরা। দিন গুনছি মৃত্যু থেকে কত দূরে আমাদের জন্মের কাল। মহাকাশে যে ঘড়িটা ঘুরছে তার হাসির শব্দ ঝরে পড়ছে। এ হাসি তির্যক। তার অশ্রু আমার মাথায়। যে বাড়ি ছেড়ে এসেছি তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে নদীতীর। মুহূর্তেই জলে নেমে যায় দুপাশের সংসার। রুজি-রোজগারহীন। স্তব্ধ জীবনযাপন। কারা পরিযায়ী? আমরা সবাই ছুটে যাচ্ছি দিকনির্দেশহীন। কেউ কি লিখে রাখছে ইতিহাস যেখানে কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে অকস্মাৎ মিলিয়ে গেছে আগের পৃথিবী! আগের জন্ম! আমি তাকিয়ে আছি শব্দগুলোর দিকে। এত ঈশ্বরিক শক্তি তাদের! আমি সংগ্রহ করছি অভিধান। থিসেরাস। অথচ সেখানে শুধু কান্নার শব্দ। স্তব্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শব্দ। এসময় আশা শব্দটি অপ্রচলিত। শুধুই ফিসফাস। শুধুই চাপা হাহুতাশ। কারা ছুরি বন্দুক গুলি চাইছে? আমি চাইছি একটি সুসম্বন্ধ বাক্য। লিখে রাখতে চাই এই অন্ধ দিনের কথা। তুমি বলো সময় চলে যাচ্ছে। আমি বলছি সময় এখন অপ্রাসঙ্গিক। টেলিভিশনের পর্দায় আটকে আছে সময়। তার ভিতরে দেখা যায় পিচ্ছিল রক্তপথ। তারপর অন্ধকার সব। ক্যামেরার পাশ থেকে একবারও ছিটকে আসে না আলো। এই অন্ধকারে কী করে আলোর কথা লিখে যাবে কবিতা আমার? ক্ষমতার উৎস সেই থেকে কয়েক দশকের মরচে জমেছে বন্দুকের নলে। সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে হল এতদিনে তার কি আর ক্ষমতা দেখানোর কিছু অবশিষ্ট আছে, জানা হয়নি আমার। একদিন নিশ্চয় কেউ না কেউ এসে খুঁচিয়ে বের করে আমাদের দিকে চেয়ে বলবে, নাও সামলাও এবার। তখন হয়তো চূরমার হয়ে ভেঙে পড়বে শান্তশিষ্ট রাত, অন্ধকার টানতে টানতে নিয়ে যাবে কাউকে ভোরের ময়দানের দিকে, যাঃ শালা, পালা! রামনাম জপতে জপতে যারা ফিরছিল গঙ্গাস্নান সেরে, তাদের চোখ থেকে নেমে এল ফ্রিজশট, মুখ থুবড়ে পড়েছে যৌবন। এদিকে, আমি ভয়ে যত দৌড়োচ্ছি, ধর ধর বলে পেছনে ছুটছে কালো হুইসেল। আমি তার ভেতরে বসে থাকি ভাঙা শব্দ হয়ে, দেখি একটা আয়নার মধ্যে লুকোতে গিয়ে ঝনঝন শব্দে কেটে গেছে কার হাত। বিপ্লব, শোনো, আমি লালমুখো ইংলিশ ট্রিগার দেখিনি, দেখেছি কালো গাড়ির ভিতরে আর এক কালো গাড়ি যেখান থেকে বেরোচ্ছে অনেক লাশ। একটা পুরোনো কঙ্কাল আমাকে নিশ্চিন্ত করেছে, চলো, এগোও, আমি জেগে আছি দিনরাত। সেই থেকে এগিয়ে যেতে চেয়ে আমি বুঝেছি আমার স্নায়ু শিথিল, রাজ্যাদেশে অন্ধকার আরো ঘন, ছোটোখাটো এ জীবনের চারদিকে বেড়ে উঠেছে কাঁটাতার, তার ভিতরে অজস্র ভয়ের মুখ আর ওপাশে লাল উঁচু প্রাচীর। আমি সুযোগ পেলেই কাঁটাতার ধরে ঝাঁকাচ্ছি, টানছি। তারপর ক্লান্তি আসে, লোহার ভারী গেট বন্ধ হওয়ার শব্দ ঘুমোতে দেয় না, কিংবা সেই মরচেধরা বন্দুক। আমি কি আবার রাত থাকতে থাকতে বেরিয়ে যাব মরচেধরা বন্দুকের কাছে? ফেনার জীবনে বাঁচো কবিতার কাছে শুনতে চেয়েছিলে গোপন ইন্দ্রিয়-বিপর্যয় অথচ বেসেছ ভালো উচ্ছল ঝরনার নীচে লিরিল স্নানের দৃশ্য লিরিল না লিখে যদি লিরিক অবগাহনের কথা আজ বলি তোমার নন্দন বনে গ্রাহ্য হবে তাও নাকি তুমি নান্দনিক বনপথে হারিয়েছ গ্যালাক্সি উড়ান? সর্পিল পথের রেখা কুয়াশা মেখেছে দেখে ভয়ে মূর্ছা যাও তুমি আর পথ কিংবা পথের কুহক কারো হদিশ পেলে না গোপন কান্নার ধ্বনি আর পাখিদের অভিমান প্রেমট্রেম খুঁড়ে কিছু নষ্ট ছবি, ভূগর্ভ প্রদেশ সরলরৈখিক এই স্বপ্নে এর চেয়ে বেশি লিরিক জাগে না সাবান সাবান শুধু অপেরা-সন্ধ্যার কীর্তি বোকাবাক্সজুড়ে কবিতায় অজান্তেই চেয়েছিলে রক্তমুখ মানবখনিজ তোমার আকাঙ্ক্ষাজুড়ে কুচি কুচি ফেনা ওড়ে লিরিকসন্ধ্যায় কী হবে কাব্যের গূঢ় কথা খুঁজে, তৃণা জীবন প্রেমের কিংবা অপ্রেমের সোজাপথে কখনও হাঁটে না যা কিছু স্তব্ধতা, দৃশ্যের বাইরে গিয়ে দৃশ্যের অনন্তকথা সব অর্থহীন এই নষ্ট ক্যানভাসে ফেনার জীবনে বাঁচো, ঝরনার মর্মরধ্বনি ডেকেছে তোমাকে! হৃদয়-আখ্যান মৃত্যুর ছায়ায় বেড়ে উঠছে এ হৃদয় হৃদয়ের কথা শুনে শুনে এতদিন আমি মৃত্যুকে অগ্রাহ্য করে শুয়েছি মায়ায়, আকাশের নীচে যেখানে অজস্র সূর্য জন্ম নেয় রাত্রি দেখবে বলে। নক্ষত্রখচিত রাত আমার নির্মাণ, আমি তার প্রতিটি ভাঁজেই নৈঃশব্দ্যের ঝরাপাতা রেখে দিই সেখানেই কুঁড়ি ধরে, ফুল ফোটে, সৌন্দর্য ব্যাখ্যান করে গান গায় প্রেমিক-প্রেমিকা। ছায়ার ভিতরে আমি তোমার হৃদয়গন্ধে বেড়ে উঠি যতদূর তুমি যাবে, ততদূর তোমার আখ্যান ততদূর ছায়া থেকে, মৃত্যু থেকে হেঁটে যাই দূরে। তোমার উদ্দেশে এ কবিতা তোমার উদ্দেশে এ কবিতা লিখি দেখে আমাকে ঘিরেছে হিম শীত নেই, শুধু অন্ধকার এসে পাতাল কক্ষের দিকে টানে চেয়েছি তাদের আলো ফসফরাস হয়ে ঘুরবে তোমার অঘ্রাণে কল্পনায় জ্বলে উঠবে মনের আকাশ, নীচে আকাঙ্ক্ষা নিঃসীম। প্রেমের এলিজি আমি লিখেছি বৃক্ষের গায়ে, তাদের পাতায় স্বতঃস্ফূর্ত তোমার সহস্র নাম, বাতাস জপেছে অহর্নিশ কবিতায় এ হল ধ্রুপদি রীতি, জীবনবিনাশী আত্মবিষ অকস্মাৎ মনের ভিতরে, তার আলোড়ন স্মৃতিকে কাঁদায়। কান্নারা হৃদয়ে জমে, হৃদয় নিঃশেষ করে নক্ষত্রের আয়ু মাথার ভিতরে তার পিচ্ছিল মৃত্যুপ্রবণ আর্দ্র নশ্বরতা আমি দেখি বিষাদগাথার অববাহিকায় অতিলৌকিকতা মুহূর্ত অনন্ত হলে আশাবরি সুর তোলে জেগে-ওঠা স্নায়ু। এ মূহূর্ত কবিতার, এ মুহূর্ত চিন্তাসূত্রে অতীন্দ্রিয় জট স্বপ্নদৃশ্যে তুমি উষা, উষাকাল, মেঘ এনে ঢাকো দৃশ্যপট। দোলের কবিতা আমার চুলের মধ্যে একটা লাল নক্ষত্র এঁকেছি আমার সম্বল বলতে এই ছবিখানি যার নিষ্প্রভতা দেখে তুমি তাকে মৃত্যু বলে ভেবেছিলে, বলিনি কিছুই আমার গোপন কোনো আকাঙ্ক্ষার উৎস থেকে ঝরেছিল রোদের ইশারা দূরে স্বপ্ন বসে ছিল চুমকি বসানো এক আকাশের কোণে আমি তার নীল রং মুছে তাকে দিয়েছি হলুদ সব মেঘ নেমে আসে ফকিরের আলখাল্লার দিকে মেঘেদের ডানা নেই, লাফিয়ে লাফিয়ে চলে, খঞ্জনি বাজিয়ে গান গায় বন্দরের দিকে আজ দোল খেলছে নাবিকেরা, তাদের গায়ের রঙে মিশে যাচ্ছে স্মৃতি থেকে উঠে আসা রক্তের ফোয়ারা বিদায় জানাচ্ছে এক গোলাপি রুমাল একটি রুমাল আমি ম্যাজিসিয়ানের হাত থেকে উড়িয়ে দিয়েছি কোথাও হবে না থিতু জাত নাবিকেরা, ঘূর্ণির আবর্ত থেকে উঠে আসবে না আজ রাতের খাবার রুটি মদ আমার নক্ষত্র লাল, এতই নিষ্প্রভ আর উদ্দীপনাহীন কিছুতেই তাকে আর রাগানো যায় না, আমি কি একাই ক্রুদ্ধ একা একা এই মরজগতের বাগান সাজাই ইচ্ছেমতো রং ভাঙি, ইচ্ছেমতো রং লেপে দিচ্ছি ফুল থেকে ফুলে, এক মানুষের রং ঢেলে দিই অন্য মানুষের মনে রাত্রি নামছে সমুদ্রসৈকতে (একটি প্রেমের সনেট) আশ্চর্য রহস্যময় প্রেম জেগে উঠেছিল তোমার শরীরে আহা প্রেম, আমি তাকে যত রাখি কবিতায়, গাথা ও পুরাণে তত সে উদগ্র শিখা, সমুদ্র-আগুন, ঢেউ ঠেলে আসে তীরে মেঘ ও স্মৃতির ভার শূন্য করে ভেঙে পড়ি তৃষ্ণার্তের টানে মেরেছ অব্যর্থ শেল যেন তা বিবাহপ্রার্থী ফুলের স্তবক লাভাস্রোতে আমাকে জাগায় তার গন্ধরেণু, বীতশোক ফাগ রক্তের ভিতরে তুমি জাগিয়েছ ভালোবাসা, না কি দেহবক রক্তাভ ও দৃঢ় করে স্তনবৃন্ত, ঠোঁটের গোলাপি কাটা দাগ আমার বয়স থামে, চমকে ওঠে পৃথিবীর যা কিছু সুন্দর আমাদের যৌথ শ্রম, উন্মত্ত ঝঞ্ঝার পাশে শুয়েছে উজ্জ্বল আমার দেহের বৃষ্টি যাকে ভিজিয়েছে তার বেদনা গভীর আমি দেখি ফুলেদের বিষাদ উধাও, অন্তরে হর্ষপ্রহর বাতাস বৈরাগ্যহীন, শরীরে তুলেছি বিষ, যত কোলাহল শান্ত সমুদ্রঢেউ, জেগে আছে ভালোবাসা, দুটি দেহ, স্থির
সৈয়দ কওসর জামাল
জন্ম ১৯৫০ মুর্শিদাবাদে। ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর। পড়েছেন সাংবাদিকতাও। ‘নক্ষত্রপেরেক’, ‘অনুপস্থিতির আড়াল থেকে’, ‘পারমাণবিক বীজতলা’, ‘স্বগতোক্তিপ্রায়’সহ দশটি কাব্যগ্রন্থ তাঁর। কবিতা বিষয়ে দুটি গ্রন্থ—‘কবির কথা কবিতার কথা’ ও ‘ফরাসি কবিতার সন্ধানে’। দুটি গবেষণাগ্রন্থ—‘রবীন্দ্রনাথ ও ফ্রান্স’ ও ‘’আন্তঃসম্পর্কের আলোয় মহাত্মা গান্ধী’। অনুবাদগ্রন্থ—‘ফরাসি কবিতা ১৯৫০-২০০০’, ‘পল ভেরলেন-এর কবিতা’ ও ‘জেরার দ্য নেরভাল-এর কবিতা’। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন আকাশবাণীর সঙ্গে। সাংবাদিকতা পড়িয়েছেন বিশ্বভারতী, ভারতীয় বিদ্যাভবন, ত্রিপুরা ও কলকাতা এবং টেকনো ইন্ডিয়া, কলকাতায়।
Facebook Comments Box