বাস থেকে নামার আগে পায়ের নিচ থেকে ছুটে যাচ্ছে হাসপাতাল, কেমো, আইসিইউ কালচে অগাস্ট জুড়ে একগাদা স্মৃতি কেন এত কথা বলছে? কোনওটাই তো খুব স্বচ্ছ, খুশির নয়- অতিদূর নক্ষত্রের গন্ধে মায়ের বিলিরুবিন বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন আলো কি জ্বলে উঠল অসুখী ছায়াকে মুছে? ডাক্তারবাবুর মাথা দু’দিকে নড়বে না তো? সামান্য আলো? অনেক হেমন্তের পর মা এসে দাঁড়াচ্ছে মাথার পাশে ‘সন্ধ্যে হয়ে গেল, উঠবি না?’, ঘরে ঢুকে আলো জ্বালছে মা- এই স্বল্পায়ু খোয়াবে ডুবে সান্ধ্য-বাসে ঘুমিয়ে পড়েছি কখন। আমার কাঁধে মাথা ঢলে পড়ছে পাশের যাত্রীর। ওরও খোয়াবে কোনও আকাশপ্রদীপ-সম্ভাবনা জ্বাল খাচ্ছে অতিহলুদ পাতায় পাতায় কোনও স্বজনের মুখ, হয়তো জগদ্দল ক্লান্তির পরে এনআরএস থেকে শ্যামবাজারের পথে গভীর নিশ্চিন্তি তার সামান্য ঘুমে। আমি ঘুম ভাঙাই না তার। অসহ স্থিতিতে যতদূর কারও বিপন্নতা ছুঁয়ে থাকা যায়, থাকি। নীরোগ ভোরের দোয়া যখন গোটা দেশটাই কার্সিনোমিক ব্যথায় ছটফট করছে ধর্ম থেকে, অবিশ্বাস থেকে, জাতের গুমোর থেকে জেগে উঠছে এক একটা টিউমার- তখন শরৎকালের রোদ্দুর সংকটের মেঘে মেঘে উৎসব খুঁজছে। ঈশ্বরের গ্রন্থি খুলে চাল-ডাল উবে গেছে ভাঁড়ার থেকে আলোবাতাসের গল্পে প্লেটলেটের মতো কমে গেছে প্রাত্যহিক রাষ্ট্রগাথা মেপে রেখেছে জল-জমির সামান্য অবকাশ। বিষাদকণিকারা শিরায় ধমনীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে দত্যিদানোর ভয় বেড়ে যায়- দেশজোড়া অকালপৌষে রূপকথার শোকে শোকে ওড়ে সংবিধানের পাতা আনাজের দামে বাড়ে বিপন্নতা; ভোটের রূপোকাঠি আরও অতল ঘুমের কাছে নিয়ে গেলে ডানা ভুলে কথোপকথন বিচ্ছেদে থিতু হয় ভুলে যাওয়া সোনাকাঠির খোঁজে এখনও ভোরের দিকে হাঁটে যারা সমস্বরে, পাল্টে দিতে চায় যত শাসনপ্রস্তাব তাদের রূপকথা লেখা হোক নীরোগ সময়ে
Facebook Comments Box