১ গলায় রুপোর দাগ আমি তার প্রেমিক সেজেছি ভাড়ার ঠিকানা থেকে ঘুরপথে দুপুরের গলি যে মোড়ে থামাল এনে বুঝি এক দশকের পার এখানে সহজ পথ এবং সদর খুলে ঢোকা অবিলম্বে খিল দেওয়া একে একে পোশাক সরানো এ-ওকে সাহায্য করা দু’জনের হাতেহাতে কাজ কখন দুপুর ঢলে সন্ধে হয় খেয়াল থাকে না ২ গলায় রুপোর হার কিশোরীটি যুবতী এখন সহস্র দৃশ্যের শেষে সে যেন আশ্চর্য হয়ে জ্বলে আছে লাজুক গোধূলি আমি তাকে ভাগ্যে লিখে ফেলি ক্ষুদ্র সংসার হবে, নিজস্ব আলো, চেনা ঢেউ বেমালুম ছুঁয়ে ফেলা দশক পেরিয়ে আজ গুটিগুটি হাঁটতে শিখেছে ৩ কে এসে দরজার কাছে ডেকে যায় এখনই বেরোনো, খানিক সময় চাই নিজেদের গোছাতে যেটুকু যুবতী লাজুক হাসে, আমিও কানের কাছে তার শতকোটিতমবার জানাই এখনও ভালোবাসি ৪ সূর্য ডুবেছে হাট থেকে ফিরে এসে যে যার অস্থায়ী ঘরে বিশ্রামে নিমগ্ন এখনও চৌকাঠ পেরিয়ে বুঝি ঢুকে আসে সন্ধে হওয়া আলো আলোয় অপেক্ষা রাখি, ছায়া গেলে সংযত হই পাহাড় নিঃস্তব্ধ তাই ঠিক হয় সমুদ্রে যাব না ৫ জায়গা বদল হয় রুনঝুন গয়না বেজে ওঠে ব্যাধের কাহিল চোখ শিকারের গন্ধ পায়, জাগে এ-গ্রামে সন্ধের পর বাঘ সিংহ সবেরই পোশাকে একক আমার পাঠ এ নাটকে শিকারিও আমি নিজেকে হত্যা করে নিজেরই উপোস ভাঙি কেঁদে ওঠে মেয়েটি হঠাৎ ৬ আত্মহত্যা এমনই সপাট দরজার ফাঁক দিয়ে ছায়া দোলে মনে হয় জীবিত এখনও সঙ্গী কাঁদছে তাই বুঝতে পারি না ঠিক কতখানি বেঁচে রয়ে গেছি ৭ প্রেয়সী চুলের গন্ধে মাতিয়েছে একান্ত কুটির এ চোখে কান্নার মতো কুৎসিত দৃশ্য মুছে দিয়ে আমিও শুয়েছি পাশে বলেছি আবার কোনো রাত পাহাড়ের ধারে বসে দুটো-একটি নতুন কবিতা শোনালে হঠাৎ তুমি কেঁদে উঠবে আবারো এভাবে? যেখানে ফেরার তাড়া গৌণ হবে সব পিছুটান যেখানে দরজায় এসে কেউ কোনও কড়া নাড়বে না আমাদের মেলামেশা থেকে যাবে একান্ত গোপন আমাদের আত্মহত্যা কোনওখানে প্রচার হবে না
আকাশ গঙ্গোপাধ্যায় জন্ম ১৯৯৪-এর বর্ষাকালে উত্তরপাড়া শহরে। বিজ্ঞান শাখায় স্নাতক আকাশ পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য। কবিতা ও গদ্যের বাইরে বাগান, গাছপালা, পাখি, কুকুর, কলকাতা, বন্ধুবান্ধব, গান, প্রচ্ছদ, মানুষ ও টকদই-বোঁদের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। মাস্তুল নামে একটি পত্রিকার সম্পাদনা করে আকাশ। বইঘর ডট ইন নামক বাংলা বইয়ের অনলাইন সেলিং প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম কার্যকরী সদস্য। এছাড়াও বিভিন্ন ছোট-বড়ো সংস্থার সঙ্গে পেশাগতভাবে জড়িত।
Facebook Comments Box