পা টিপে টিপে এগোচ্ছে বিড়ালটা। যেন পাক্কা খুনি! সামনে টার্গেটকে দেখে নিঃসাড়ে এগিয়ে চলেছে। বোধহয় বাতাসে নিঃশ্বাসও পড়ছে না, পাছে শব্দ হয়। খুনির চলন এর আগে কখনও দেখেননি মনোরঞ্জন। তবে, খুনি কথাটাই মাথায় এল তাঁর। শিকার শব্দটা মনে এল তার পরে। যে বিড়াল শিকার করে তার গোঁফ দেখেই চেনা যায়। ভাবতে গেলে তাই বিড়ালের সঙ্গে শিকারের সম্পর্কটাই বেশ মাখোমাখো। তবু কেন যে খুনির ছবিটাই ভেসে এল কে জানে! মনে হয় বড্ড বেশি টিভি দেখা হয়ে যাচ্ছে আজকাল। আর খুন-জখম ছাড়া তো কোনও খবরই প্রায় নেই। সন্ধেবেলায় ঝগড়া হয় নেতায়-নেতায়, সিরিয়ালের শাশুড়ি-বউমার মতোই। দুটোই একই রকম, কোনও তফাত নেই। পুরুষরা তাও খবর দেখে খানিক আত্মতুষ্টি পায়। মহিলারা সিরিয়াল দেখে বলে হ্যাটা করে। দুজনে আসলে একই রকম বিনোদন খোঁজে। মনোরঞ্জন যে এসব জানেন না তা নয়, তবু টিভি খুলেই বসে থাকেন। নইলে সময় কাটে না।
ইঁদুরটা এবার গর্ত থেকে একটুখানি মুখ বার করল। মনোরঞ্জনের অ্যাপার্টমেন্টের পাঁচিলের গায়েই গর্তটা। এতদিন তেমন করে নজরে আসেনি। আজ ইঁদুর-বিড়ালের খেলায় চোখে পড়ল। বিকেলবেলা সামনেটা পায়চারি করতে করতে হঠাৎ দেখলেন, ইঁদুরটার পড়িমড়ি দৌড়। সামান্য দূরে একটা ফেলে দেওয়া প্যাকেটের মধ্যে খাবার খুঁজছিল। আচমকা এক দৌড়ে গর্তের ভিতর। দেখামাত্র মনোরঞ্জনের প্রথমেই মনে হল, পাঁচিলের গায়ে ইঁদুরের গর্ত থাকা তো মোটেও কাজের কথা নয়। পরের মাসে কমিটির মিটিং-এর সময় কথাটা তুলতে হবে। তারপর মনে হল, আচ্ছা বেচারা অমন জানপ্রাণ বাজি রেখে দৌড়লো কেন? কৌতূহলে এক পা এগোতেই চোখে পড়ল যে পাঁচিলের এক ধার থেকে বিড়ালটা নিষাদ চোখে তাকিয়ে সন্তর্পণে গর্তটার কাছাকাছি এগিয়ে আসছে। তার মানে এবার একটা শিকার হবে। একজন বধ্য, একজন শিকারি। দুরন্ত খেলা। কে জিতবে, কে হারবে সে চিত্রনাট্যে কারও কন্ট্রোল নেই। এ তো সিনেমা নয়। নির্জলা প্রাকৃতিক ঘটনা। অতএব হাঁটা থামিয়ে মনোরঞ্জন সেই দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। ইঁদুরটা, প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিয়েই বোধহয়, এবার মাথাটুকু বের করে দেখে নিল, বিপদ ঠিক কতটা দূরে। তারপর কোনও রকম রিস্ক না নিয়ে টুপ্ করে ফের ঢুকে গেল গর্তে।
বিড়ালটা এবার চুপচাপ দাঁড়িয়েই পড়ল। একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকল গর্তের দিকে। মনোরঞ্জন আশেপাশে তাকিয়ে দেখলেন, কোথাও তেমন লোকজন নেই। যেন গোটা মহাবিশ্বে শুধু এই ইঁদুর-বিড়াল খেলাটাই চলছে, আর তিনি একমাত্র দর্শক। এমনিতে শান্ত তাঁদের পাড়া। বিকেল-সন্ধের মুখে আরও যেন শুনশান। রাস্তার আলোগুলো এবার জ্বলতে শুরু করবে। এই সময়টা বাতাসে পুজো-পুজো গন্ধ ভাসে। এক কালে এই গন্ধ বেশ গাঢ় হয়ে চারিদক ছেয়ে ফেলত। গন্ধটা যে ঠিক কীসের তার ব্যাখ্যা মেলে না। মনে হয়, আনন্দের। আজকাল অবিশ্যি আনন্দের তেমন বালাই নেই। গন্ধটাও ক্রমশ ভারি সন্দেহজনক হয়ে উঠেছে। পুজোর জন্য রাস্তার দু-পাশে যেটুকু গাছপালা আছে তারও ডাল-টাল ছেঁটে ফেলা হয়। একেই কলকাতা শহরে সবুজ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। খবরেই দেখেছিলেন মনোরঞ্জন, অন্যান্য মেট্রো সিটির তুলনায় গাছ কম কলকাতায়। তার উপর আবার উৎসবের খাতিরে সবুজের গুষ্টির ষষ্ঠিপুজো। কাটাকাটি হয়ে গেলে বাতাসে তখন বুনো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বোধহয় নির্বিচারে অঙ্গহানি হওয়া গাছগুলোর কান্নাই। ইদানীং পুজোর কথা প্রথম মনে আসে সেই গন্ধে। তাতে আনন্দও হয় মানুষের। উৎসবের আনন্দের গোড়াতেই যেন মিশে থাকে অন্যের যন্ত্রণা। এই যেমন বিড়ালটা যদি এখন ইঁদুরটা ধরতে পারে, তবে তার উৎসব। ইঁদুরের আর উৎসব কী! মৃতের কোনও উৎসব নেই।
তবে, এর পর যা ঘটল, তার জন্য মনোরঞ্জন বিশেষ প্রস্তুত ছিলেন না। ইঁদুরটা এবার শুধু মুখ বের করল না, তার শরীরের খানিকটাও গর্তের বাইরে নিয়ে এল। বিড়ালটা তখনও পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। ইঁদুরটাকে বেরোতে দেখেও তার বিশেষ হেলদোল হল না, যেন সত্যিই তপস্বী। দেখে ইঁদুরটা সাঁ করে দৌড়ে সেই প্যাকেটের কাছে চলে গেল। মনোরঞ্জন ভাবেন, এতটুকুন প্রাণীর বুকে কী সাহস! সামনে মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে জেনেও ভয়ডর নেই। অবশ্য না দৌড়লেও যে চলে না। একটা ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে মনোরঞ্জনের। বালাসোরে অতবড় ট্রেন দুর্ঘটনা হল। কত মৃত্যু, রক্ত, হাহাকার। দিনকয়েক পরে যখন আবার ট্রেন চলাচল শুরু হল, সেদিন খবরের কাগজে একটা ছবি বেরিয়েছিল। এক শ্রমিক ট্রেনকে প্রণাম করে কাজে রওনা দিচ্ছেন। বহু মৃত্যুর পরেও মানুষকে তো বেঁচে থাকতে হয়। এমনকী মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে জেনে বুক কাঁপলেও বেরোতে হবেই। পেট বড় বালাই! ইঁদুরটারও খাবারই দরকার। হয়তো রাতের সঞ্চয়। তাই শিকারি সামনে দাঁড়িয়ে আছে দেখেও তার প্রাণ কাঁপল না। এর আগে সে উঁকি মেরে বিড়ালটাকে যেভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিল, পরেরবার তাই-ই দেখেছে। ইঁদুরটা কি তাহলে এখন বিড়ালটাকে লেসার ইভিল ভাবল! কথাটা মনে হতে আপনমনেই একচোট হেসে নিলেন মনোরঞ্জন। তারপর দেখলেন, প্রায় চোখের নিমেষেই ইঁদুরটা আবার ঢুকে গেল গর্তে।
সন্ধে মোটামুটি হয়েই এসেছে। ইঁদুর-বিড়ালের খেলাটা আর কতক্ষণ চলবে কে জানে! হয়তো আজ আর কিছুই ঘটবে না। কোনও উত্তেজনার জন্মই হবে না। তবে, মনোরঞ্জন যে কেন উত্তেজনা চাইছিলেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারেন না। একটা হত্যা না হলে কেন যে তিনি তৃপ্তি পাচ্ছেন না! নিষ্ঠুরতার মধ্যে একরকমের নিষিদ্ধ আনন্দ আছে। একবার তা রক্তে চারিয়ে গেলে নিষ্ঠুরতার নেশা লেগে যায়। সে নেশা না হলে দিন চলে না। তখন হয় কাগজে, নয় টিভিতে, নয় মোবাইলে কোনও একটা নিষ্ঠুরতার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অবশ্য এর একটা উপকারিতাও আছে। দিনের পর দিন নিষ্ঠুরতা হজম করতে করতে এক সময় আর তা গায়ে লাগে না। যত মৃত্যুই হোক, মনে হয় তা তো হওয়ারই ছিল। তখন কোথাও কেউ কাউকে পিটিয়ে মারলে, কিংবা হুমকি দিয়ে বস্তি জ্বালিয়ে দিলেও আর ততটা খারাপ লাগে না, যতটা খারাপ লাগা উচিত ছিল। বুলডোজার দিয়ে কারও বাড়ি ভাঙা হলে গৃহস্থের কান্না দেখে তখন আর ততখানি খারাপ লাগে না। এই তো মাত্র বছর দুই-তিন আগের কথা। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা দেখে কতজন রেগে উঠেছিলেন। খেপে গিয়েছিলেন। অনেকেই দৃশ্যটা মেনে নিতে পারেননি বলে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। এখন সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা কেউ কি আর ভাবেন! এই উৎসবে সেদিনের সেই পথ-হাঁটা পরিযায়ী শ্রমিকরা কেমন আছেন, তা কি কেউ খোঁজ করতে যাবেন! এমনকী তাঁরা বেঁচে আছেন কি-না তাই-ই তো কেউ জানেন না। কতজন চুপিচুপি মরে যায়। ক’টাই-বা খবর হয়! অথচ মানুষ যে মরছে, প্রত্যেকের পাশের মানুষ যে মরে যাচ্ছে ক্রমশ, তা প্রত্যেকে জানে। জানা সত্ত্বেও উৎসব আসে সমারোহে। ভাঙা ভাঙা মানুষের উপর নেমে আসে উজ্জ্বল আলো। মানুষ মেতেও ওঠে। তার মধ্যে বোধহয় এক ধরনের অশ্লীলতাও আছে।
এলোমেলো ভাবনাগুলো মাথায় জট পাকাচ্ছিল মনোরঞ্জনের। আর ঠিক তখনই ঘটে গেল ঘটনাটা। মাত্র এক মুহূর্তের খেলা। ইঁদুরটার সাহস আর-একটু বেড়েছিল। সে মাথাটা ফের বের করে দেখল, বিড়াল তখনও পাথরের মূর্তিটি। অতএব ঠিক আগেরবার যে কাজটা করেছিল, তা করবে বলেই ঠিক করল। দ্রুত দৌড় আর বিড়ালের চোখে ধুলো দিয়ে গর্তে ফিরে আসা। তবে এবার বিড়াল আর স্থির রইল না। ইঁদুরটা বেরনো মাত্র নিখুঁত লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল। আর মনোরঞ্জন দেখলেন, এক লহমায় ইঁদুরের সব কেরামতি শেষ। চোখের পলকে সে বিড়ালের মুখের মাঝখানে। উৎসব আর অন্ধকার। একসঙ্গে। একই মুহূর্তে। মনোরঞ্জন যেন এই আকস্মিকতায়, এই দ্বৈততার মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে স্তম্ভিতই হয়ে গেলেন। এই মুহূর্তের থেকে সত্যি, নির্ভান আর কিছু নেই। গা যেন ছমছম করে ওঠে। নিজের পাড়ায় নিজের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়িয়েই একটু যেন ভয় পেলেন মনোরঞ্জন।
দিনের আলো তখন ফুরিয়ে এসেছে প্রায়। সন্ধে এগিয়ে এসেছে অনেকখানি। তার ভিতর দাঁড়িয়ে আছেন মনোরঞ্জন। হঠাৎ যেন অনেক দূর থেকে শুনতে পেলেন, কেউ বলছে, অন্ধকারে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন কেন? কে বলল! তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টের কেউ কি বাড়ি ফেরার সময় কথাখানা বলে দ্রুত চলে গেল, ঠাহর হয় না। চারিদিকে খুব ডেঙ্গু হচ্ছে। হয়তো সেই কারণে কেউ সাবধান করেছেন। তবে এই ঘটনার ভিতর তিনি এতটাই মগ্ন ছিলেন যে, পাশ দিয়ে সত্যিই কেউ চলে গেল কি-না, মনে পড়ে না। তিনি দেখেন, বিড়ালটা ইঁদুরটাকে মুখে করে নিয়ে ধীরে-সুস্থে পাঁচিলের ওধারে অদৃশ্য হয়ে গেল। ঠিক ওখান থেকেই সে এসেছিল। তার আসা আর যাওয়া যেন কোনও ঘটনাই নয়। অথচ তার ভিতরই শিকার হয়ে গেল একটা ইঁদুর। অত সাহস করে না বেরোলেই তো পারত ইঁদুরটা, মনোরঞ্জন ভাবেন। এক লহমা মৃত ইঁদুরের জন্য তাঁর খারাপও লাগে। তবে, ইঁদুরটাকে তো খাবার জোগাড় করতেই হত, না বেরিয়েই বা করবে কী! মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েছিল বেচারা, সেটাই সত্যি হয়ে গেল। ইঁদুরটা হয়তো আত্মপক্ষ সমর্থনে দুটো কথা বলতে পারত। মৃতেরা তো আর কথা বলতে পারে না। তা ছাড়া, বিড়ালের মুখে আটকে থাকা একটা ইঁদুরের শব এই বিশাল ব্যবস্থার প্রতি কোনও প্রতিবাদই নথিবদ্ধ করতে পারে না। অতএব যা হওয়ার ছিল, তাই-ই হল। কেউই তা ঠেকাতে পারল না। মনোরঞ্জনের ঝপ করে মনে পড়ে যায়, অনেকদিন আগের একখানা অমোঘ কথা– The mice which helplessly find themselves between the cat’s teeth acquire no merit from their enforced sacrifice.
অ্যাপার্টমেন্টের গেট খুলে এবার তিনি ভিতরে চলে আসেন। সিঁড়ির আলো জ্বালান। তার পর উপরে তাঁর তিন তলার ফ্ল্যাটের দিকে উঠতে শুরু করেন। ল্যান্ডিং-এর আলোগুলো কেউ জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই এত আলোর ভিতরেও তাঁর চোখের সামনে ভাসতে থাকে বিড়ালের চোখ থেকে ঠিকরে পড়া সেই তৃপ্তির রশ্মি। আর ইঁদুরের বধ হয়ে যাওয়া দেহটা। বিড়ালের দাঁতে অসহায় ভাবে আটকা পড়া একটা ইঁদুর। তার বলিদানের আর আলাদা কী গৌরব! সিঁড়িতে উঠতে উঠতে তাঁর মনে হয়, আস্ত এই নিষ্ঠুরতার ভিতর তিনি নিজেও যেন কেমন আটকে গিয়েছেন। এর বাইরে বেরোতে পারছেন না। নিষ্ঠুর না হলে অনেকের যন্ত্রণা দেখেও তিনিই বা নির্লিপ্ত থাকতে পারেন কী করে! পৃথিবীতে এত মহাপুরুষ এলেন, এত ভালো ভালো কথা বলে গেলেন তবু মানুষের ভিতর থেকে শিকার গেল না। পাশের মানুষের শিকার দেখে আর একজন মানুষ চুপ করে থাকেন। তারপর তিনিও একদিন শিকার হয়ে যান। শিকারি পালটে যায়, বধ্যও; শুধু তাদের ভূমিকা আর পালটায় না। মনোরঞ্জনের মনে হয়, অতিকায় এক বিড়ালের দাঁতের ফাঁকে আটকে পড়ে তিনি নিজে হাঁসফাঁস করছেন। তবে তাঁর মতো নগণ্য একজনের হাঁসফাঁসের আর আলাদা কী মূল্য হতে পারে, তা জানেন না মনোরঞ্জন।
উঠতে উঠতে খেয়াল হল, মাথাটা যেন হালকা ঘুরছে। প্রেশারের ওষুধটা বোধহয় খেতে ভুলেছেন। কোনক্রমে নিজের ফ্ল্যাটের একেবারে সামনে এসে দরজার বাইরের কোলাপসিপলট ধরে দু-দণ্ড দাঁড়িয়ে পড়েন মনোরঞ্জন। দম নেন। একটু স্বস্তি পান। চাপ দেন কলিংবেলে। মনে মনে ভেসে ওঠে একজন মানুষের হাসিমুখ। বেড়ালের দাঁতে আটকে পরা অসহায় ইঁদুরের অগৌরবের মৃত্যুর কথাটি বলেছিলেন যিনি। রাজনীতি আর হিংসার দাঁতে দাঁতে আটকা পড়া তিনিও বোধহয় একজন অসহায় মানুষ-ই। কথাটা মনে হতে মনোরঞ্জন এবার একা একাই বলে ফেলেন, হে রাম! যদিও কলিংবেল আর দরজা খোলার আওয়াজ তখন অনেক বেশি জরুরি। মনোরঞ্জন খেয়াল করেন তাঁর উচ্চারণ ডুবে যাচ্ছে সেই সবের ভিতরে। অনিবার্য সেই মিলিয়ে যাওয়া। ঠেকানোর ক্ষমতা অন্তত মনোরঞ্জনের হাতে তো নেই।