১ শিস চেপে রেখে ছায়া মাপার এই খেলা কোনো না কোনো সময়ে বোঝাই যায়। ঘড়ির ভেতর থেকে প্রজাপতিদের টেনে টেনে তুলে আনলেও পরিত্যক্ত কোন বারান্দাহীন বাড়িতে তাদের কেবল গান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব। সূর্যাস্তে তারা প্রথম বিকল্প হিসেবে পরীপাথর পছন্দ করে। অনাগত শীতকাল নির্বিকার চলে যেতে টাটকা ঘুমের গন্ধে ভেঙে পড়ে পাশের সিটে। এরকম জন্মদিনে লাস্ট ট্রাম নিজে নিজেই মুছে যায়। শুনতে পায় মুখের উপর দরজা বন্ধ হওয়ার অন্ধকার। শুনতে পায় নির্জন হত্যার মনোলগ। শুনতে পায় এ ছায়াপথে কোনোরকম অস্বস্তিকর হারিয়ে যাওয়ার জন্মদাগ নেই। ২ আলো পড়ে আসার সময়ে কোনো রবিবার অপেক্ষা করবে কিনা সেটা রবিবারই জানে প্রজাপতিদের অভিমান উড়ে যায়। ট্রেন ফিরেও তাকায় না কখন কার খিদে পাবে কখন কোন সবুজ দিওয়ানা বৃষ্টি পড়লে কোলে বসবে পালানোর রিক্সায় চিরটাকালই আমি তাই দ্বিতীয় ডোরবেলগুলো বাজিয়ে গিয়েছি না বোঝা যত খারাপ লাগায় ৩ এইসব মানচিত্রেরা মোমবাতিও জানে। রঙিন জেলির দাগ দেওয়া হাসি মনে আছে? সেই বাতাস কম হওয়া জামাজুতোর দোকানে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাওয়ার জোছনা?। জোছনা করেছে আড়ি - রুমালে রুমালে ঘষা কাচ লেগে আছে সমস্ত দৌড় থেকে বাঁচিয়ে রাখা সময় দিয়ে সেখানে বড়জোর সাড়ে তিন মিনিটের চোখ মোছা যাবে। আখরোটের দেশ থেকে হাত নেড়ে চলে গেছ। একবারও পিছু ডাকনি রোমাঞ্চকর শীতকাল প্রত্যেকবার অভিবাদন শেষে আমি কিন্তু তাকিয়েছি। ৪ তার কলারের একরোখা পাত ছিঁড়ে অন্ধকার লোকাল ট্রেন বেরিয়ে আসে – সেই জানে - হাওয়া গুঁড়ো হয়ে গেলে জামাগুলো অবাস্তব ডার্ক চকলেট হয়ে ওঠে। উইংসের ধারে খেলা খেলতে খেলতে কেউ কেউ বুল ফাইটের সংকেত পড়তে শিখে যায়। আসন্ন শীতকাল দিয়ে ছাপানো ফটোগ্রাফ খুললে প্রাঞ্জল ভাষার উপকথারা যাতে শ্বাস নিতে পারে। সিঁড়ির ঘরে খাঁজ কাটা চোয়াল শক্ত করে বসে থাকে তাদের তৃতীয় চ্যাপ্টার। একটা বুকমার্কে কখন যেন সেই লোকাল ট্রেন এসে বাড়িয়ে দেয় বিষন্ন বাদাম। লাইনের ফাঁকে ফাঁকে চেকারেরা ভাগ চায় ‘টিকিট’… ‘টিকিট’ ৫ রাস্তা শব্দ করে। দীর্ঘশ্বাস খুলে নিতে বলে। নির্বাচিত মলাটে হেঁটে যায় একজন লেখক। গোধূলিগগনে তার জুতোর ফিতে নির্জন হয়ে যায়। নির্জন হয়ে যায় বুদবুদ স্টেশন… মোমবাতিদের এই জংশনের আর কোনও নামকরণ হবে না কোথাও একা কাঁপতে থাকা চমৎকার যে কারণে রোজ তার পাঠক্রম ভুলে যায় আয়নার বৃদ্ধাবাস যার যার নিজের নিজের বাড়ির চাতালে ধুলো নিয়ে ওড়ে চেনা অচেনার গন্ধে ৬ ফিতে বাঁধা গরম টুপির মানুষেরা প্রায়শই জুতো হারিয়ে ফেলে পাথরের গান শোনে। ঘুড়ির গল্পে লক্ষ্য করে কখন যে সাতটার ট্রেন ঢোকার সময় হয়ে গেছে। সব স্টেশনই একই রকম সাদা আর স্যাঁতস্যাঁতে উপুড় করা দোকানের নখে চায়ের কেটলি চোখ না সরিয়েও পুনরাবৃত্তির শূণ্য হয়ে যায় তারই মধ্যে কোনো কোনো শীতকাল হলে দু’চারজন চশমা নামিয়ে নিজস্ব অন্ধরোগ নিয়ে বসে… তারপর নিস্তব্ধতা আর বিষণ্ণ ডলফিনের গল্প বলতে বলতে তাদের মধ্যে দু-একজন শুনতে পায় সাতটার ট্রেন তাদের সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়েছে।। ৭ লবণের সমস্ত সীমান্ত আজ থেকে কালো করে দেওয়ার মুহূর্ত শুরু হল একটা চোখ দিয়ে যতটা অক্ষর নির্মাণ করা যায় ততটাই ভাগফল পাঠিয়ে দেওয়া হবে ঘুমিয়ে পড়া রেখাবৈচিত্রে এই অনিচ্ছাকৃত বিভ্রমে কোনও ভেলভেট নেই মৃত সম্পর্কের মিউজিয়ামে নৌকো নেই অনন্ত জিজ্ঞাসা নিয়ে অন্তর্বাসগুলো টাঙানো হল তাই দ্বিতীয় আত্মজীবনীতে বিকেল আর চাদর পাল্টাব না কিছুদিন যত্ন আত্তিতে দেখা হলে দাঁতচাপা অনুমানগুলো তখন কেউ নিশ্চয়ই খুলে রাখবে ঠান্ডা ঠান্ডা গন্ধে
কৌশিক চক্রবর্তী জন্ম: ১৯৭৭ লেখার জগৎ মূলত কবিতা, প্রবন্ধ ও কবিতার অনুবাদ কেন্দ্রিক। এ ছাড়াও গান করেন, গান বাঁধেন, ছবি আঁকেন। প্রথাগত শিক্ষা বলতে বানিজ্য এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য – দুয়েতেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং বানিজ্য পরিচালন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা। কবিতা, প্রবন্ধ ও উপন্যাস মিলিয়ে এখনও অব্দি মোট দশটি বই প্রকাশিত।
Facebook Comments Box