গাজা তুমি বর্জিত হচ্ছ কোথাও জীবনে আমি মার্জিত ভদ্র ভাষায় বলছি তোমার এমন প্রাপ্য আদৌ ছিল না জাতি আর ভাষা মানে সন্ত্রাসচিহ্ন ধ্বংস হওয়ার আগে কোনোদিন ভাবোনি জাতি আর ভাষা দুই বোধ যেন অপচয় ২ গানের মতো হাওয়া বইছে পৃথিবীতে পশ্চিমে তা উঠেও এই শীতে রক্তে মিশে গেল গন্ধ নিয়ে এল পোড়া মানুষ শুকনো কিছু কালো রক্ত কোথাও টায়ার্ড প্রতিশোধের হাওয়ায় ৩ বাড়িতে বসে আছি? আসলে বসে নেই উড়তে উড়তেই ওয়াদি পশ্চিমে কী ছবি দেখলাম? দেখেছি জেব্রিল ছুটতে ছুটতেই হঠাৎই কাঁদছে আর কী দেখলাম? মূর্ত বালিকারা কামিজে শালোয়ারে লোবানে ভাসছে আমি কী বললাম ? বলেছি মানুষেরা হিংসা ভালোবাসে রুটির চেয়ে বেশি রুটি তো পেট ভরে খেলেই ইতিহাস হিংসা নিশ্বাসে কখনো থামছে না 8 একে বলো শুভ হিংসা বাইরে মুক্তি চাইছে দৈত্যের মতো দুর্বল পালাতে পালাতে ক্লান্তি ৫ তুমি আছো তুমি থাকবেই যেন হাতি শুঁড় তুলে ভয় পাইয়ে দিয়েছে তবু অমর্ত্য একদিন তোমাদের আর ওদের ছোট্ট শিশুতে সহ্যের মতো জ্বলবে? আদরে পেঁচিয়ে ধরবে ৬ ভূখণ্ডে বাজার বসে গেছে আবুা সব পরপর উড়েছে আকাশে যেসব শরীর ছিল ত্রুটিপূর্ণ, তারা বেঁচে গেছে নতুন ভূমিকা এসে যেতে যেসব আশ্চর্য আত্মা নুন খেয়ে গুণ যত গান করে রাতের বাতাসে তাঁদের সৌভাগ্য এসে গেছে শরীরে বার্দ্ধক্য ব্যাধি আর ভয় বইতে হবে না ভাগ্যিস মানুষ তার অধিকার ফলাতে পেরেছে গুলি আর অগ্নিপ্রজ্জ্বলনে রাষ্ট্র তার আন্তর্জাতিক শান্তি দু'হাতে উপুড় করে ঘৃণায় দিয়েছে
সংযম পাল জন্ম ১৯৬০, কোচবিহারে। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এই কবির কৈশোর কেটেছে ঝাড়গ্রামের পুরুষালি সবুজের মধ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের উঁচু পদে আসীন থেকে ঘুরেছেন দিল্লি থেকে সিকিম, শিলিগুড়ি থেকে শান্তিনিকেতন। থিতু হয়েছেন কলকাতায়। ছোটগল্প হোক বা উপন্যাস, তাঁর স্বকীয়তা স্পষ্ট ছাপ রেখে গেছে সর্বত্র। কবিতায় গড়ে তুলেছেন অসচরাচর নিজস্ব এক ভাষা শৈলী। কবিতার শরীরকে ভেঙেছেন যতবার, ততবারই গড়েওছেন নিজের মতো করে। পাঠক পেয়েছেন মন ও মননজারিত এমন এক পদ্যভূখণ্ড, সমকালীন বাংলা কবিতার পৃথিবী থেকে যা সম্পূর্ণ আলাদা।
Facebook Comments Box