শীত হিমশীতল লোমশ শরীর বেয়ে ঘাম, রক্ত, লালা, পুঁজ, বীর্যের দৈনন্দিন পশুজন্মে মৃত্যুর ঠিকানা লেখা। হেমন্ত ওয়াইন এবং রক্তের রঙ সমান, লিকারেরও জীবনশূন্য গ্লাসের তলানি ভেদ করা অভিযান শুধুই অভিসারের নেশায় সম্মিলিত এক মিছিল। শরৎ চাওয়া থেকে জন্ম নেওয়া বীজাণুর ঢেউ স্পর্শকাতরতা এবং ছিঁড়ে যাওয়া সংলাপের উন্মাদনা দিনকে চিহ্নিত করে রাখছে রক্তের রাত-সূর্য ধর্ষণবার্তা বাহক। বর্ষা বৃষ্টি, মাটির সোঁদা গন্ধ গায়ে পড়ছে রক্তনদী কণা ফুলের আশায় ডানা মেলা পরাগ মাথা তুলে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় পিষছে মৃত্যু। গ্রীষ্ম রাগের তারায় জ্বলে ওঠা মালা কাঠিন্যের মুখে যৌবনের ছোপ রাঙা দেওয়াল বেয়ে নেমে আসা উইএর ভিড়ে স্পর্শহীন সুরের মূর্ছনা কারন মৃত্যু এবং রক্তের সমানতা ভেঙে পড়ছে অবিরত। বসন্ত কঠিনতম হয়ে ওঠা এই দন্ডের ভবিষ্যৎ মাথা নুইয়ে গৃহে প্রবেশ। আরও পরে সে পুরোপুরি অক্ষম হয়ে ঢেলে দিতে চাইবে গরল যা মৃত্যুজন্ম দেবে। শীত আবারও ফিরে আসা তোমার কোলে তোমার ঊরুদেশে মাথা নত, নিশ্চুপ নেমে আসুক গিলোটিন যার অপেক্ষা লিঙ্গ বয়ে ধমণী প্রবেশিত পরলোক।

সেরা ঐহিকান ২০১৯ পুরস্কার প্রাপ্ত অনিন্দ্য দীর্ঘদিন লেখালিখি করছেন। মূলত ছোট গল্প, গদ্যই তার লেখনীতে উঠে আসে। ঐহিক পত্রিকার সঙ্গে ২০০৮ সাল থেকে যুক্ত। শিক্ষকতা পেশায় থাকা অনিন্দ্যর আরেকটি প্রিয় বিষয় নাটক।
Facebook Comments Box