১ সেলাই নেই বোতাম মানছেনা আঙুল পরখ করছে ছুরি কেউ কি প্রচ্ছদ জুড়ে এঁকে দেবে সস্তা বেড়াল আকাশে খইয়ের মতো ভাসছে নীলজুতো পরা মেয়েরা স্বপ্নে কেউ অবিশ্বাস্য সুরে বাজাচ্ছে প্ররোচনা অজস্র তিমির নি:স্বাস গাধার টুপির পাশে যে স্বতস্ফুর্ত মেয়েটি শেষ ঘোড়া বিক্রি করে শহরে এসেছে । ২ সেভাবে দাঁড়াতে পারিনি যেটুকু পাতা উড়িয়ে আঙুল ছড়িয়ে নীচু হয়ে হাঁটছি পৃষ্ঠা থেকে ছবি মুছে কামড়ে দেখছি নিজেকে ফুরানো মাঠ খুঁজে পাচ্ছিনা জানা হলনা নিজের মাংসের ঘ্রান অবহেলা নিচ্ছি ছাতিম গাছের ভয়ংকর শীত ঢুকে যাচ্ছে দাঁতে এখন জুতো খুলে জড়িয়ে ধরে বসে থাকি থাকি রোগা সন্তানটি। ৩ জীবন থেকে সরে গিয়ে নীচু হয়ে এখন আমি বেড়ালের মত সতর্ক একদিন জামার নীচে মানুষ ছিলাম মানুষের অপরাধ দেখে দেখে বুকে ব্যর্থতার দায় ছিল হৃদয়ের ছাতিম গাছটি মরে যেতে সর্বত্র এখন ভেঙ্গে পড়ার শব্দ মুখে নিরানন্দতার অভিব্যক্তি এই মন্বন্তরে মানুষ হিসেবে আমি এক নিষ্ফল প্রবাদ । ৪ যাবার কথা ভাবি, ছোটো হয়ে এসেছি ত্বকে হাঁটুতে অপমানে এই রোদ হাওয়ায় ছোটো হয়ে এসেছে ভ্রমণ আবার কেউ প্রণাম করবে প্রপিতার আটচালা দুধের সর কেউ কী বলবে এই বিরহ আমার এই বুক আমি। ৫ তলপেট সে তোর প্রথম বাড়ি টের পাই নাড়ি ছিঁড়ছিস দাগ কাটছিস প্রথম মা হবার কান্নার শরীরে পুঁইয়ের রঙ কে রাঙালো কোন সে পাগল মা হলাম শাড়ি ব্লাউজ সেফটিপিনে মা হল বিকেলের মাঠ, আঁকবার খাতা, গোপন ডায়েরি রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত মা, জানিস? ৬ কতদিন ডান হাতটিকে বিমর্ষ দেখি শীত সহ্য করে করে কী রকম নির্জন হয়ে যায় জগতের হাতও কী এমন ঠান্ডা একদিন বৃক্ষের গলায় কান্নার শব্দ শুনে চমকে যাই আমারও বাঁকা খোঁপায় রোদ্দুর সেখানে পাখি নেই দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে জ্যোৎস্না দেখার লোভ ভুলের বিনিময়ে শীত সহ্য করে কী বিমর্ষ এই হাত জগতের অবিচার মেনে তাকিয়ে থাকি হাতের দিকে।
বিশ শতকের উল্লেখযোগ্য কবি কচি রেজা (একাডেমিক নাম নিরোজা কামাল) জন্মস্থান : গোপালগঞ্জ শহর। আট এপ্রিল। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত কবিতার বই : অবিশ্বাস বেড়ালের নূপুর ( ২০০৯) ভুলের এমন দেবতা স্বভাব (২০১২) অন্ধ আয়নাযাত্রা ( ২০১২) মনে করো : (২০১৭) নির্বাচিত কবিতা ( ২০২০)
Facebook Comments Box