
রাধা
শীত— ফুলের ঋতু, যদিও বসন্তে ভুল করে ভ্রমর যে-কোনো
ভঙ্গির থেকে শিথিল হয়ে ওঠে। মায়া-বাঘিনীর হাতছানি উপেক্ষা
করে নিদ্রামগ্ন হরিণ অমিশ্র মেঘের কাছে ছায়া চায়
দেখো নির্ভার-আতঙ্কে কারো হিম হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে খামচে আনা ছোপ
ছোপ রক্তের দলা— এ যে তপ্ত হাপড়ে পোড়া নীল ছাই,
অসবর্ণ মায়া!
অপার-বিরহ
তার চেয়ে আরো নীল হয়ে ফোটে দূর নিধুয়ার বনে
প্রিয় সে ত
দুই ঢেউয়ের মাঝখানে ফণা তোলা সাপ...
তামসিক
বৃষ্টি হোক জমকালো,
পাথরে ঘর্ষণে কোথাও বিদ্যুৎ চমকালো।
শাদা মেঘ সরে যায়
হরিণনাভির থেকে ফিরে আসে ঘ্রাণ।
ছিলে ময়ূরের বেশে ছদ্ম পাখিদের পরিত্রাণ
মৃন্ময়ী এ কোন বৃক্ষের সন্তান।
তামসিক
ঝরে পড়া পাতার অধিক
এই হিমনিশি। পাখিদের গ্রামে
কতিপয় মেঘ কিংবা পাহাড়ের নামে
দেখো ফুল ফুটলো থরে থরে
ধূসর রাত্রির অগোচরে...
রোজারিও
শর-বিদ্ধ সজারু— এ শহরে সায়াহ্ন সায়াহ্ন নিগূঢ় অন্ধকার, আলো
প্রহেলিকা— ওই আলো-অভিমুখ; দৃশ্যপটে ফিরে আসছে ঘোড়া
হেলে-সাপ সন্ধ্যার বাতাস কেটে দৈবরথ যেইখানে থামে সেইখানে
সরে যায় দূরে, দূরে আবছায়া পাতার বুননে ফোটে জলের নিপুণ!
রোজারিও সমস্ত জলের কাছে তুমি এক নিবিড় দ্রাঘিমা!!
Facebook Comments Box
