
যুদ্ধ এই একটি গল্প সীমান্ত পেরিয়ে যাচ্ছে তোমারও সীমানা জানা নেই অস্ত্রের পরেও আমি গম রুটি নিয়ে যুদ্ধ করতে শিখে গেছি কারণ যা ঘটবে, যা ঘটতে দেখেছি, যা ইতিহাসে লেখা আছে সেখানে তুমিও উদ্বাস্ত শিবিরের ছেলে হয়ত পরের বছর তুমি আটলান্টিক পাড়ি দেবে সমুদ্রে লঙমার্চ শেষে যারা মরে যাবে তারাও সার্বভৌম নয় যেখানে তটরেখা অস্পষ্ট,পতাকার রং মুছে যেতে যেতে সেখানে লোনাপানির চিৎকারের আছড়ে পড়ে তিমিসমান টেউ সেখানে বোমার শব্দে তড়িঘড়ি ফেলে আসা সুটকেসের মতো তোমাকেও খুঁজে পাবে না কেউ কারণ তুমি পরিত্যক্ত বাড়ি,তুমি চুরমার তৈজসপত্র,তুমি রক্তস্রোত,রাস্তায় পড়ে থাকা ছিন্নভিন্ন শরীর- তোমাকে তাড়িয়ে নিচ্ছে সীমান্তহীন ট্যাংক ও দানব শস্যখেতের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তোমার মনে পড়ছে ভাতের থালা,রুটি মাংস,দ্রাক্ষানিবাস হয়তোবা পাশেরও বাড়ির মেয়েটিকেও —যে তোমাকে সীমা অতিক্রম করতে দেয়নি কখনো … . তোমার আমার এই পাগল শহরে প্রেমপত্র লিখে লিখে আমাদের সন্ধিবাতায়নে একটি গভীর রাত, মৌচাক ও তস্করের হাতে হাতে এত গান! এভাবে পরের দৃশ্যে আরো কোলাহল চাই,এভাবেই ফেলে আসা ঘুম থেকে খুঁজে ফিরি রূপকথা, শিমুল তুলোর মতো তোমাকে পেয়েছি ভেবে ব্যাকুল সাহসে অর্ধেক আকাশ আমি বিনিময় করি নিয়তি ও পতন রেখায় বাকিটা জীবন আমি হাওয়া গাছে, তোমার আমার এই পাগল শহরে .. . অচেনা বর্ষা এলো ভোরবেলা। ভিজে যাচ্ছি। ধূলিকে ভুলিনি। দুচোখ জড়ানো ঘুমে, কে বলেছে জাগিনি প্রহর? আমার পোশাকে রক্ত, মুছে দিতে আসেনি বিকেল। এসেছিল—বলেছে সে, ‘আমি অন্য মেয়ে’! ব্যাকুল, তোমার স্বপ্নে এরকম অচেনা বাতাস বাড়ি বদলে যেতে পারে, মানুষেরা মেলার মুখোশ! আমি যে পাড়ায় থাকি, সে পাড়ায় অনেক দালান ছেলেরা দেরিদা পড়ে, মেয়েগুলি অপাঠ্য, সুদূর…
Facebook Comments Box
