
মৃতেরা ফেরেনা কখনও তাই মৃতেরা এ পৃথিবীতে ফিরে জবাব চায় না আঙুল তোলে না খচ্চর মন্ত্রীদের দিকে খিস্তি দেয় না যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রনেতাদের মৃতেরা লাশ হয়ে লাশেরা নম্বর হয়ে নথিতে নথিতে বাড়ে শোকদীপ্ত মোমবাতি নেভে জীবিতের স্মৃতি জুড়ে ধুলোর পরত পুরু জীবিতেরা ভোট দেয়। উৎসব করে। মৃতেরা ফেরেনা কখনও শাসকের কলার ধরতে শাসকের গাফিলতি, সচেতন হেলাফেলা বাদামের খোসার মতো শাসিতের প্রাণ উড়ে যায় জীবিতেরা একদিন লাশ হয়ে যায়। এভাবেই- মেনে নিতে নিতে ধুলোর মতোই তারা অবজ্ঞায়, নথিতে, নম্বরে, মুর্দাঘরে জমে লাশেরা জবাব চায় না রাষ্ট্রের জিভ ছিঁড়ে নিতে শাসনপ্রণালী অবিকল থাকে তাই উঁচু হওয়া লাশের পাহাড়ে যে কবিতারা থেকে গেল কাছে সিলেবাস থেকে বাদ পড়ে যেত বইয়ের যেসব কবিতা, এই ডিসেম্বরের রোদে খুব মনে পড়ে তাদের কি সম্ভাবনা কম ছিল? তারা কি জটিল ছিল খুব? হেমন্তের রোদের মতো তারা থাকে, তবু পাত্তা দেয় না কেউ। অতিরিক্ত ভাবে। আমরা যারা সিলেবাসের কবিতা পারতুম না নামকরণের সার্থকতা খুঁজতে ব্যর্থ হতুম শব্দ তুতলে যেত মৌখিক পরীক্ষায় তারা কীভাবে যেন ওইসব উপেক্ষিত পংক্তিমালা আউড়ে যেতুম বখাটে আড্ডায় ওরাই সঙ্গ দিত অপমানে, ভয়ের সময় অন্যকে ছেড়ে একা চলে যেতে যেতে রাষ্ট্র থেকে দেশ ঝরে যেতে দেখে দীর্ঘতম রাতের শোলোকবিষাদে- আমাদের খুঁজতে আসে ওরা, ডেকে দেয় শীতঘুম থেকে
Facebook Comments Box
