
সংবেদ কেউ পারে না লিখতে তোমার হয়ে তোমার জীবন পাহাড় পারেনি পড়তে চুপ থাকা মুহূর্তের স্বর তোমারও ভুল ছিল সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসা অপার অক্ষর সবটুকু জাগরণ দিয়ে শুধু খুঁজেছ আলো ঘুমের ভেতর পাহাড়ের কোলে সমুদ্র শুয়ে ছিল কাটাকুটি হয়ে যায় সব নীল এক পৃথিবীর ছায়া অন্ধ আহত পরাভব প্রতিটি ফেরার পথে সূর্যের বদলে নিজেকেই ডুবিয়ে এসেছ কতকাল তবুও হয়নি শেষ ভালো না থাকার বিভ্রম! চূর্ণবিচূর্ণ আর কিছু যদি না জানার থাকতো তখন কেমন হতো পৃথিবী? থেমে যেতো সময়? জানার আছে কিন্তু জানা নেই এইসব বিমর্ষ প্রশ্নের উত্তর! আর যদি কিছু না জানার থাকতো তখন মনেই আসতো না কেমন আছো তুমি, অরণ্য, পাহাড়, পাহাড়ের খাঁজে নাম না জানা পথ— আত্মার ভেতরের নিস্তব্ধতা কেন এমন হয়? ঘুমের দুপুর কেউ ডাকলে যেতে ইচ্ছা করে না, কাছে কিংবা দূর খুঁজে খুঁজে কারও কাছে যেতে ইচ্ছা হয়— কোনো বৃক্ষ, জলাশয়, গান, কবিতা, কারও লেখা, আঁকা, চলচ্চিত্র, মানুষ! যেন, শান্ত কবুতরের ডানায় ভর করে অস্থির একটা সাঁকো পার হওয়া— আমি চাই অপেক্ষার পরেও কেউ না-আসুক তানপুরায় বেজে যাক ঘুমের দুপুর!
Facebook Comments Box
