সকালবেলাটা ছিল মেঘলা । বেলা বাড়তেই ঝকঝকে অথচ কোমল এক রোদ্দুর এসে খেলা করছে ছোট্ট পাহাড়ি শহর জুড়ে। ভোরবেলা একটু শীত শীত করছিল। এখন আর করছে না। গায়ের চাদরটা ভাঁজ করে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখল সুদীপ্ত। মনট
অগ্নি-সোয়ারি-কচি রেজা
বাঁশ চাঁছতে চাঁছতে, ঘরের দিকে মুখ করে হাঁক দেয় মালেক : শুনছো, এটটু আগুন দিয়া যাও। সাজু শুকনো পাটখড়িতে আগুন নিয়ে আসে। বিড়িটা ধরাতে ধরাতে খিঁচিয়ে ওঠে মালেক : কথা কইলে কানে যায় না, না? সাজু চুপ কর
সেইসব প্রাণাধিক কবিতারা-তাপস রায়
১
আঁচলে ঝাপট ওই, বঙ্গোপসাগর ফুলে ফেঁপে ওঠে
সেখানে কে বাজাবে যমুনার বাঁশি, আছে ঢেউ
মাথার উপরে হু হু করা শ্বাস, আর তত লবণাক্ত রৌদ্র ভ্রুকুটি
মিত কথোপকথন হবে, না-ক্রেতারা থাকবে না
আর আমাদের ঘরের ভিতরে বহ
‘সহজ মানুষ ভজে দেখনারে মন দিব্যজ্ঞানে’-জুনান নাশিত
উৎসব একার হলে হয় না। হতে হয় সকলের। উৎসব মানে আনন্দ। এ আনন্দে শরীক হওয়ার অধিকার সকলের। সভ্যতার সূচনা থেকেই মানুষ একা থাকতে না পেরে একসাথে থাকার উপায় আবিষ্কার করে নিয়েছে। মানুষের যূথবদ্ধ জীবন শুরুর
ওপেন এন্ট্রিজ-সমীর দে রায়
গত কয়েকদিন ধরে একটা পাগলা ভাবনা আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। হঠাৎ যদি আমি হাওয়া হয়ে যাই, তা’হলে কী হতে পারে ? কী কী হতে পারে ? ভাবছি, আর সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে, থই পাচ্ছি না। কী কী কাজ এখনও
ছাগলবুড়ির বাগান-প্রসূন মজুমদার
রানির বাগানে এতগুলো ছাগল ঢুকে পড়েছে! এরা ঢুকল কীভাবে? এতগুলো ছাগল এই তল্লাটে ছিল। রানি চুপ করে চেয়ে থাকে আর ভাবে। রানির যদি উপায় থাকত তাহলে এক্ষুনি এই ছাগলগুলোকে কশাইখানায় পাঠাত। কশাই-এর কথা মনে প
ছাদ- তিলোত্তমা বসু
ছাদ জীবনে আছে ছাদ। ভাঙাচোরার দোতলায়, ঘুপচির ঠিক ওপরেই এই ছাদ। ছাদ মানে মধুপুর। ছাদ লাক্ষাদ্বীপ কিংবা মালাবার উপকূল। ছাদ হল গিয়ে শৈশব । নিজের সঙ্গে দেখা করবার এই একটিমাত্র স্থান আমার। ছাদে ফুলগাছ বলত
এক-বিশ্ব:দুই বাসিন্দা- প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
We do not understand fully the mechanism of destruction. That may be the essence of the tra
বাতিলপদ্য -ইমরান নিলয়
মাতাল প্রয়োজন যে ছেলেটা মদ খেয়ে ঘুমুচ্ছে, তাকে ডেকে দিন
বলুন- সময় হয়েছে।
ঘুমানোর মানুষ তো অনেকই আছে,
শহরের এখন একজন মাতাল প্রয়োজন। হৃদয়ের ছোটপাখি হৃদয়ের ছোটপাখি
আমি তোমাকে বুঝি
কিন্তু বলো কীইবা করতে প
তিনটি কবিতা-কাজী লাবণ্য
কনফ্যুসান রাতের গহীনে অমীমাংসিত সত্যরা যেন ফ্রেমে বাঁধানো ছবি হয়ে যায়
খরাবনের সেই ছবিতে ঘুমের বীজ বপন করে
অপেক্ষায় থাকি অনার্য কৃষকের মত
যেমন ফসল নিয়ে থাকে তাদের সরল সংশয়
একদিন বলেছিলে এক নদী দুঃখ পের