একটা বেজি দৌড়ে ঢুকে পড়ল ঝোপের মধ্যে। হাওয়ায় কলাগাছের পাতা দুলে উঠছে। পাকা ডুমুর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মাটির ওপর। ঘাস ও বুনো জঙ্গলে বাড়ির আশপাশ ছেয়ে গেছে। শহুরে বাড়িটিতে যেন অনেকদিন কোনো যতেœর ছাপ
কবিতাত্রয়ী-অপরাহ্ণ সুসমিতো
আমাদের বনিবনা হোক যে গাছটার ছায়ায় আমাদের বনবাস হতে পারত, সেখানে ভিড় রে
আবার যে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটি, তার কাছে পড়ে থাকে দুটো ঘড়ি;
সময় কাউকে কব্জিতে বেঁধে রাখে, কাউকে সেলফোনে। নদীটার পাশে তুমি যে কোনো
জ্যঁ জেনের সঙ্গে একরাত- উপল বড়ুয়া
‘কিন্তু আমি তো জ্যঁ জেনে হতে চেয়েছিলাম।’মাতাল লোকটি হাসে। দু’আঙুলের ফাঁকে জ্বলন্ত সিগারেট থেকে ছাই ছড়াতে ছড়াতে লোকটি বলে, ‘মানুষের বয়স কতো?’ পৃথিবীতে অজস্র প্রশ্ন। সবকিছুর উত্তর নেই। সবকিছুর
দুর্গতিনাশিনী ও অন্যান্য- রুখসানা কাজল
দুর্গতিনাশিনী দুর্গা আসছে। কাশবন পেরিয়ে ভোরের শিশির মাখা পায়ে মৌষল দুই বাংলায়। লক্ষ্মীর আসন ভাঙ্গা, বীণাপাণি ডুবে গেছে শ্যাওলায়, গণেশমার্কা সিন্দুকে কেবল টাকার টং টঙ্কার, রক্তমুখী ক্ষুধায় উদ্বাহু উচাট
গুচ্ছ কবিতা- অঞ্জন আচার্য
ভোর ও সন্ধ্যার কথা “নির্লিপ্ত ও প্রতিকূল বিশ্বে মানুষ এক অনন্য নিঃসঙ্গ প্রাণী, যে নিজ কর্মের জন্য দায়ী এবং নিজ নিয়তি নির্ধারণের ব্যাপারে স্বাধীন।“ ―কিয়র্কেগার্ড (১৮১৩—৫৫), ড্যানিশ দার্শনিক রাতজাগান
ধর্ম – কর্ম – আধ্যাত্মিকতা স্নেহাংশু বিকাশ দাস
‘ধর্ম -কর্ম-আধ্যাত্মিকতা’ এই শিরোনাম থেকেই স্পষ্ট যে আলোচ্য্ প্রবন্ধে্ মানবজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক তিনটি বিষয়ের প্রকৃত স্বরূপ ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরাই প্রবন্ধক
তারকাটা নাড়ু ও একটি সন্ধ্যা- শান্তনু ভট্টাচার্য
আসবো না আসবো না করেও বৃষ্টিটা শেষ অব্দি এলো। এলো তো এলোই যাচ্ছে না আর। বেশ কিছুক্ষণ হলো নাড়ু একটা দোকানে আশ্রয় নিয়েছে বৃষ্টির জলের হাত থেকে বাঁচতে। চায়ের দোকান আর দুপুরবেলা ভাতের হোটেল।ছোট্ট চায়ে
দাম্পত্য- স্নিগ্ধা বাউল
রাত তখন সাড়ে তিনটা। এ নিয়ে এক রাতে ঘুম ভাঙছে নীলার তৃতীয়বারের মতো। বাইরে শুক্লপক্ষের অন্ধকারে ভেসে আসছে গলির পোস্টের লাইটের অস্পষ্ট আলো। নাইটির গাওনটা টেনে নিয়ে বিছানা থেকে নেমে আসে নীলা। সম
ট্রায়ালরুম-শৌভিক দত্ত
এক একটা প্রায়ান্ধকার ঘর। চারটে চেয়ার। তিনটি একপাশে। তিনটে চেয়ারের মুখোমুখি শেষ চেয়ারটা। মধ্যে একটা টেবিল। ছাদের দিকের কার্নিশে একটা টিমটিমে বাতি। যেন অন্ধকার দূর করা নয়, অন্ধকারকে সাহায্য করাই তা
অন্য ফ্রাইডে- ইমন ভট্টাচার্য
ট্রেন অনেকক্ষণ ধরে চলছে। ট্রেনটা ভালো যাচ্ছে। অনেকক্ষণ ধরে সবুজ দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু অংশ বেশি সবুজ। ধানক্ষেত আর ধানক্ষেত। মাঝে মাঝে বাড়ি। স্টেশন। সব স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ায় না। ট্রেনের দায় আছে, তাড