সেদিন দৌড়াচ্ছিলাম অনেকটা কারিনা কাপুরের মতো। কারিনার কখনো ট্রেন চলে যেত না কিন্তু আমার সবসময়ই মনে হয় ট্রেন শুধু আমাকে রেখে আর সবাইকে নিয়ে চলে যাবে। ঠ্যালায় পড়ে সেবার গাড়ি ছেড়ে, পয়সা আর সময় দ
এপ্রিল ফুল-শৌভিক দত্ত
—-এক বোকা রাতে সে চলে যায়… —-কি করে ? —-অনেকগুলো ঘুমের পিল —-বোকামো করেছিল… —-হ্যাঁ , হয়তো বুঝতে পেরেছিল নিজের বোকামি। একটা কথা জানো কি, বোকা নিজের বোকামি যেদিন বুঝতে পারে , তার পরের দ
ঐ মাথা কেউ গোনেনি-সাদিয়া সুলতানা
পার্টি অফিস থেকে ভেসে আসা হৈ-হট্টগোল সন্ধ্যার নির্জনতাকে আছড়ে ভাঙে, যেন কোনো নিগূঢ় ষড়যন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে দেয়। অফিসঘরটা সাল্লুর। ঠিক সাল্লুর না, ঘরটা সাল্লুর জায়গার ওপরে নির্মিত। দেড় শতাংশ জায়গ
বুনুয়েলের ব্লেড- মণিকা চক্রবর্তী
গত কয়েকদিন ধরে একই চেষ্টা করে যাচ্ছে সে। সে মানে যার কথা বলছি সে হলো মুনিয়া। বাথরুমে যেয়ে কমোডটিকে জলে পরিপূর্ণ করে তার দিকে নির্নিমেষ চেয়ে থাকে সে। একা একা ঘুম ঘুম শরীরে, তছনছ হয়ে যাওয়া মন নিয়
পাগলী-সঞ্চারী দীর্ঘাঙ্গী
সেই রাতের পর থেকে পাগলীর খুব অভিমান হয়ে আছে। কার ওপর, কেন, কিছুই ও জানে না। পাগলী শুধু জানে ও সেদিন কারোর ছায়ার ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়েছিল, ওর খুব পরিচিত ছায়া। কিন্তু ও নিজে তার কাছে অপরিচিত ঠেকলো পু
একটি বোকামির নাট্যরূপ-অনির্বাণ ভট্টাচার্য
আমাদের বোকামির কোনও ইয়ত্তা নেই। আমাদের বোকামি অনন্তে হাত ধরাধরি করে হাঁটে। আমাদের জন্ম হয়, ধ্যারধ্যারে নিম্নমধ্যবিত্তে। একটা বোকা ঘর, তার সবকটা দেওয়াল নিয়ে রামঠকা ঠকে গেছে বেশ কয়েকবছর হল, সেই বোক
যদি ভালোবেসে বকা দাও – তিলোত্তমা বসু
বাজারে যেতে যেতে বয়স বেড়ে গেল । এখনো দরদাম করে এটা সেটা কেনার ধরণটা রপ্ত হল না । রোজই কিছু না কিছুতে ঠকে আসি । বেশি দামের ডাল নিতেই , মাপের হিসেবে কম দিয়ে দিল । দিল বিস্কুটের পিঁপড়েধরা প্যাকেট । প
কবিতাগুচ্ছ-ফেরদৌস নাহার
ক্রান্তিকালের ডায়েরি অপমান ও অভিশাপে যে তুমি এসেছ তাকে দূরত্বে রাখি নানা উচ্চারণে ওগো দূর অযাচিত অতিথি-প্রলয় তোমাকে ভুলে যাবার হয়েছে সময় নানা মন্ত্রবানে ভাঙা হাত, ভাঙা পা খুঁড়িয়ে চলাটা খুব একান্
সম্পর্কের আমসত্ত্ব-রুখসানা কাজল
আপনি যদি একটু চালাক হতেন! তাতে কি হত বুলিক ? চোখ নামিয়ে হেসে ফেলে বুলিক। সহজ হাসিটা ম্লান হয়ে ছড়িয়ে পড়ে মুখে। বৃষ্টি নামার আগে নুয়ে পড়া গাছের পাতার মতো ওর চোখের পাতাগুলো নরম
সুন্দরীয়-ইমরান নিলয়
আহমেদ ভাইকে দেখে আপনার মায়া এবং মেজাজ খারাপ দুইটাই হবে। লোকটা একেবারেই সাধারণ। নিরীহ ও ভীতু ধরণের। যে কীনা ছিনতাইকারীর সাথেও মধুর গলায় কথা বলে এই ভেবে যে তাকে হয়ত ভালো ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেবে। তি