ফিলিস্তিনি কৈশোরের কবিতা শহরটাকে হত্যাপুরী নামেই চেনে সবাই যখন
তুমি তখন স্বপ্ন কেন দেখাও কবি?
কাব্যে তুমি এতো দারুণ স্বপ্ন আঁকো
ইচ্ছা করে যদি আমার অমন দারুণ জীবন হতো?
কিন্তু দেখ, সকাল বিকাল বোমা বারুদ
সপ্তরিপু-অনিন্দ্য বর্মন
শীত
হিমশীতল লোমশ শরীর বেয়ে
ঘাম, রক্ত, লালা, পুঁজ, বীর্যের দৈনন্দিন
পশুজন্মে মৃত্যুর
ঠিকানা লেখা। হেমন্ত
ওয়াইন এবং রক্তের রঙ সমান, লিকারেরও
জীবনশূন্য গ্লাসের তলানি ভেদ করা
অভিযান শুধুই অভিসারের নেশায়
স
কবিতাত্রয়ী-অপরাহ্ণ সুসমিতো
আমাদের বনিবনা হোক যে গাছটার ছায়ায় আমাদের বনবাস হতে পারত, সেখানে ভিড় রে
আবার যে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটি, তার কাছে পড়ে থাকে দুটো ঘড়ি;
সময় কাউকে কব্জিতে বেঁধে রাখে, কাউকে সেলফোনে। নদীটার পাশে তুমি যে কোনো
দুর্গতিনাশিনী ও অন্যান্য- রুখসানা কাজল
দুর্গতিনাশিনী দুর্গা আসছে। কাশবন পেরিয়ে ভোরের শিশির মাখা পায়ে মৌষল দুই বাংলায়। লক্ষ্মীর আসন ভাঙ্গা, বীণাপাণি ডুবে গেছে শ্যাওলায়, গণেশমার্কা সিন্দুকে কেবল টাকার টং টঙ্কার, রক্তমুখী ক্ষুধায় উদ্বাহু উচাট
গুচ্ছ কবিতা- অঞ্জন আচার্য
ভোর ও সন্ধ্যার কথা “নির্লিপ্ত ও প্রতিকূল বিশ্বে মানুষ এক অনন্য নিঃসঙ্গ প্রাণী, যে নিজ কর্মের জন্য দায়ী এবং নিজ নিয়তি নির্ধারণের ব্যাপারে স্বাধীন।“ ―কিয়র্কেগার্ড (১৮১৩—৫৫), ড্যানিশ দার্শনিক রাতজাগান
কবিতা- ফজলুল কবিরী
ডিপ্রেশনগুলো বহুদিন দাঁড়াইনি প্রার্থনায়
তবু দূরের পুলসিরাতের পাশে নির্জনে, একেলা ঘরে দেখি
রাম-সীতা-নবিজির অনুগামী মানুষের ভীড়
কাঁদিতেছে স্পর্শে, ছাপিয়ে কাঁধের ভার অন্য
কোনো ভূগোলের সীমান্তে, তীর্থের
একগুচ্ছ কবিতা-দীপকরঞ্জন ভট্টাচার্য
স্বীকারোক্তি আমি মানসীকে চিনতাম। সে আমার সময়কে ছুঁয়ে ছিল। তার মুখের মধ্যে গলে যেত কবেকার মুখ, যেন ঝড়ের বাগানের ফোয়ারা , তার ঠোঁটের মধ্যে আরও কত হারানো ঠোঁটের জ্যোৎস্নাদাগ। আমি দেখেছি তাকে – এক লতানে দ
সেখানে বৃষ্টি মানায়-শতাব্দী দাশ
১.
ঘুম ভেঙে বুঝি আজ
বৃষ্টি হবে না। আজ কোলাহল, ভিড়ভাট্টা
দু:সংবাদ। আজ দিনটার গায়ে অনন্ত ধুলো।
আকাশের মুখপেশি শিথিল হতে গিয়ে
সামলে নিয়েছে বেশ। কষ্ট ও কান্নার মাঝে
বৃষ্টির বারান্দা ছিল।
আজ নেই। আজ পরবাস।
আফগানিস্থান: কিছু কবি,কয়েকটি কবিতা — স্বপন রায়
আফগানিস্থান আর হিন্দুকুশ পর্বতমালা সমার্থক।দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ায় আফগানিস্থানের পূর্বে এবং দক্ষিণে পাকিস্তান।পশ্চিমে ইরান। উত্তরে তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান আর তাজিকস্তান। সুদূর উত্তর-পূর্বে চীন। চারদি
অন্ধ পৃথিবীর তিনটি গল্প — ফেরদৌস নাহার
হার্লেম অন্ধকারে তুমি যদি মনে কর শরীরের যাবতীয় ধুতুরার বিষ শুষে নেবে রাজকীয় নাবিক। এমন কী
যে কোনো সময় যে কোনো স্টেশনে থেমে যাবে আমাদের গাড়ি। অথবা
জলের তেষ্টায় শুকালে গলা মনু নদী ঢেলে দেবে ঋগ্বেদ সংহিত