যারা এসেছিল যারা এসেছিল ,একে একে চলেও গেল।
এখনো তাদের জয়যাত্রার বিউগল বাজছে।
রয়ে গেল অজানার অন্ধকার,
বহুকালের কালো হ্রদের তমিশ্রা।
আসর ভাঙলে যে যার গন্তব্যে যেতে চায়।
একলা চল রে!
একলা কোথায় যাব তা তো
দশটি কবিতা-মাসুদ খান
ভাঙচুর এখন বেঘোর বর্ষাকাল, মহাশূন্যে। রেডিও ঢেউয়ের ঢল নেমেছে আকাশযমুনায়। ভরা প্লাবনে, প্রবাহে উজিয়ে চলেছে অগণিত জ্যোতির্ময় মাছ।
এ মুহূর্তে রাতের আকাশ যেন এক স্ফুলিঙ্গখচিত তুঙ্গ তেজস্ক্রিয় উদয়তারার শাড়
দশটি কবিতা-জুয়েল মাজহার
স্নায়ুডাল হাওয়া বয় স্নায়ুডালে
লকুচ ফলেরা সব স্তনের বোঁটার মতো দোলে শাঁসে-বীজে মধু, নেশা
জিভে জিভে লবণ-শুশ্রূষা কোষে কোষে গাঢ় লীলা
কোষে কোষে ঝরে পড়ছে সোনা… মায়াকোল, অখিল বিবর রক্তলাগা খড়্গহাতে কালী এসে
অতনু ভট্টাচার্যর দশটি কবিতা
১. পেখম অনতিকাল রাঙানো গাল
ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিতেই—
শিহরণের রঙের ছটা ঝোপের আড়টিতেই ! হে প্ররোচন , এ শুভক্ষণ
আড়াল চাই ওদের,
আদিরঙ্গ, দেহসঙ্গ ছায়া এবং রোদের ! ২. দীক্ষা হস্তিনাপুরে কৃষ্ণ এলেই
কৃষ্ণা আত্মহারা !
ওবায়েদ আকাশের দশটি কবিতা
গগণ ঠাকুর : গণিতজ্ঞ গগণ ঠাকুর গণিতজ্ঞ ছিলেন
লিটল ম্যাগাজিনের দুর্মূল্য খাঁচায় তার নাম
যাদুঘরের প্রহরী বেষ্টিত উজ্জ্বল হয়ে আছে জীবনে প্রথম তিনি ভাষাবিজ্ঞান থেকে নেমে
লোকসংস্কৃতির দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন
তাদের সংশ্লিষ্ট বর্তমান-শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
১ আমাদের ফেব্রুয়ারি সামান্য একধরনের ঔজ্জ্বল্য আচমকা বিদ্যুৎ শুধু জঙ্গল অথচ তার অদূরেই ব্রিজ অপরিহার্য রাস্তা যেমন বজ্র ও দিগন্ত, যেমন কল্পনাতীত তুষার ও ডুলুং নদী তেমনই আমার কথা, যেমন বাড়িকে তার ভিত সম
বঙ্গদেশীয় কবির জীবনচরিত-তথাগত
১ পাথর ভাঙতে বসে শেষ হলো আমাদের প্রতিভা, সঞ্চয়, শক্তি। কখন যে ভোঁতা হয়ে গেছে ছেনি, বাটালি, হাতুড়ির ঘায়ে শব্দ ওঠে না মর্মর।
নিজের মূর্তি ভেঙেছি। সহাস্য দিনগুলি টুকরো টুকরো করে ভেঙে এ কোন দুর্বিপাক
দশটি কবিতা-সৌমনা দাশগুপ্ত
শ্বাসমূল তারপর আস্তে আস্তে গাছ হয়ে ওঠে সেই গান
শিকড় ছড়াল বুকে শ্বাসমূল নোনা মাটি, মাটিতে পায়ের ছাপ
দক্ষিণরায়ের মুখোশ। গানটি সেজেছে
চাক ভেঙে মধু আনে
আনে শ্রিম্প ও শ্রাবণ, ভরাকোটালের রাত চুপিচুপি গান উঠ
দশটি কবিতা- দিলারা হাফিজ
খুঁজে ফিরি ভিক্ষালব্ধ জ্ঞান শেষবার আমি সত্য উচ্চারণ করেছি
খনার কর্তিত জিহবায়
তোমরা কী আমাকে এখন চেনো আর,
অনেক আগেই আমি ছেড়ে গেছি
তোমাদের বিস্ময়-ভার….
বলা ভালো ছাড়িয়ে গেছি আমি পরস্পরের দ্রোহের সংসা
অবোলা জীবের কথা যেমন-রাণা রায়চৌধুরী
আমি রাস্তা সুদূরের পথে চলেছে
রাস্তায় একটি গরু – নিষ্পাপ, সাদা
মালিকের সন্ধানে চলেছে সুদূরের পথে
মালিক সুদূরে থাকেন, মালিক ছড়িয়ে থাকেন চারিদিকে
গরুটির গলা অবধি অসীম রাস্তা,
গরুটির মালিক নেই, গোয়াল নেই