রানির বাগানে এতগুলো ছাগল ঢুকে পড়েছে! এরা ঢুকল কীভাবে? এতগুলো ছাগল এই তল্লাটে ছিল। রানি চুপ করে চেয়ে থাকে আর ভাবে। রানির যদি উপায় থাকত তাহলে এক্ষুনি এই ছাগলগুলোকে কশাইখানায় পাঠাত। কশাই-এর কথা মনে প
মর্নিং হালদারের গল্প-পার্থজিৎ চন্দ
বিডন স্ট্রিটের এই ঘরটাতে বসে একদিন দুপুরবেলা, যে দুপুরবেলায় কলকাতা ঝাঁঝালো রোদে বেশকিছুটা শান্ত হয়ে যায়, ট্যাক্সি ও বাসের হর্ন আলাদা আলাদা করে চেনা যায়, সেই দুপুরবেলায় মনে হয়েছিল রাস্তাটা আসলে ‘
বোকার তিন নম্বর হাসি- গৌতম চৌধুরী
কথায় বলে, বোকারা নাকি দুইবার হাসে। কৌতু্ক, একবার না-বুঝিয়া, সবাইকে হাসিতে দেখিয়া, আর একবার তাহা টের পাইয়া। তবে, প্রবচনে যাহা বলা নাই, তাহারা আরও একবার হাসে। নিজেরই খোঁড়া খন্দে পা-পিছলাইয়া পড়িয
শোকসভা- পৌলমী গুহ
(নির্জলা সত্যি ঘটনা অবলম্বনে) “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে ভেতরে ভেতরে শিল্প হয়ে গেছে। তাঁর আমলেই বাংলা শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতিতে যেভাবে এগিয়েছে সেভাবে কোনওদিন এগোতে পারেনি, আগামী একশো বছরেও পারবে না! আস
তখন মাঝরাত- আসমা চৌধুরী
শরীফ ম্যানশনের বাতি গুলো নিভে গেছে।জানালা দিয়ে তখনো পপুলার ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের আলো ভরিয়ে রেখেছে।দূর থেকে কেউ যেন ডাকছে,মণি রে এ এ…। পথের কুকুরগুলো কেউ আর পথে নেই। বাতাসে উড়ছে কাগজের টুকরোগুলো,
কালো বেড়ালের বসতি-শামীম হোসেন
একটা বেজি দৌড়ে ঢুকে পড়ল ঝোপের মধ্যে। হাওয়ায় কলাগাছের পাতা দুলে উঠছে। পাকা ডুমুর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মাটির ওপর। ঘাস ও বুনো জঙ্গলে বাড়ির আশপাশ ছেয়ে গেছে। শহুরে বাড়িটিতে যেন অনেকদিন কোনো যতেœর ছাপ
জ্যঁ জেনের সঙ্গে একরাত- উপল বড়ুয়া
‘কিন্তু আমি তো জ্যঁ জেনে হতে চেয়েছিলাম।’মাতাল লোকটি হাসে। দু’আঙুলের ফাঁকে জ্বলন্ত সিগারেট থেকে ছাই ছড়াতে ছড়াতে লোকটি বলে, ‘মানুষের বয়স কতো?’ পৃথিবীতে অজস্র প্রশ্ন। সবকিছুর উত্তর নেই। সবকিছুর
তারকাটা নাড়ু ও একটি সন্ধ্যা- শান্তনু ভট্টাচার্য
আসবো না আসবো না করেও বৃষ্টিটা শেষ অব্দি এলো। এলো তো এলোই যাচ্ছে না আর। বেশ কিছুক্ষণ হলো নাড়ু একটা দোকানে আশ্রয় নিয়েছে বৃষ্টির জলের হাত থেকে বাঁচতে। চায়ের দোকান আর দুপুরবেলা ভাতের হোটেল।ছোট্ট চায়ে
দাম্পত্য- স্নিগ্ধা বাউল
রাত তখন সাড়ে তিনটা। এ নিয়ে এক রাতে ঘুম ভাঙছে নীলার তৃতীয়বারের মতো। বাইরে শুক্লপক্ষের অন্ধকারে ভেসে আসছে গলির পোস্টের লাইটের অস্পষ্ট আলো। নাইটির গাওনটা টেনে নিয়ে বিছানা থেকে নেমে আসে নীলা। সম
ট্রায়ালরুম-শৌভিক দত্ত
এক একটা প্রায়ান্ধকার ঘর। চারটে চেয়ার। তিনটি একপাশে। তিনটে চেয়ারের মুখোমুখি শেষ চেয়ারটা। মধ্যে একটা টেবিল। ছাদের দিকের কার্নিশে একটা টিমটিমে বাতি। যেন অন্ধকার দূর করা নয়, অন্ধকারকে সাহায্য করাই তা