গুলমোহর গাছটিকে পৃথিবীর মনে হয় না। সে অপাপবিদ্ধ। হামেশাই আত্মীয়তা বহির্বিশ্বের সঙ্গে। গাছটির শিকড় ছুঁয়েছে ভৌমজলে। ওখান থেকেই জীবন পায়। বাড়ে। বাড়তে বাড়তে ফুল হয়। ঝরে। আবার ফুল… এভাবেই বারো ম
কমরেড অসুর ও শরৎকালের আমাদের প্রার্থনা-রাণা রায়চৌধুরী
এই যে তিনজন পুরুষ, গণেশ কার্ত্তিক অসুর, এদের মধ্যে বন্ধু হিসেবে তোর কাকে বেশি ভাল লাগে? আমি কি উত্তর দেব বুঝতে পারছি না। আমি চড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে বোকার মতো হাসি। চড়াইয়ের দুষ্টু
শাদাসন্ধ্যার গোরু— নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়। ফজরের আযানের পর থেকে হাঁটছে জয়নব বেগম—হাতে একটা দড়ি, দড়িতে বাঁধা একটা গোরু। তার মন-মেজাজ আজ এতটাই ফুরফুরে যে নেচে নেচে গান গাইতে মন চাইছে, কিন্তু অভ্যাস না থাকায় গাইতে পার
দখলদারির দিনে কয়েকটি স্বপ্ন — পার্থজিৎ চন্দ
আমার সে বন্ধুটি ধর্মসূত্রে কী সেটা বলার খুব বেশি প্রয়োজনীয়তা নেই এখানে, কারণ সে ‘যাই’ হোক তার ক্ষেত্রে অন্ধকার ও দুঃস্বপ্নের বিষয়টি একই থেকে গিয়েছিল। প্রতি রাতে তার কাছে অন্ধকারের একটা দরজা খুলে য
বিজন বা বিজন নয় – সেই লোকটার গল্প — সরোজ দরবার
বিজনের নাম বিজন কি-না আমি জানি না। জানার চেষ্টাও করিনি কোনোদিন। আজ যখন বিজনের কথাগুলো গল্প হিসেবে বলতে হচ্ছে, তখন নাম ভাবতে গিয়ে বিজন ছাড়া আর কিছু মাথায় আসছে না। বিজন আমার কাছে জো
সূর্য নামে পাটে — দিলশাদ চৌধুরী
– কি হলো? – কি?
– হাসছ যে?
– বেতন এসেছে একাউন্টে৷ ফোনে মেসেজ এলো। মায়ের মুখেও হাসি। মহামারী শুরু হবার পরে যেভাবে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো, বাবা একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলো যে বেতন নিয়ে আবার কোনো সমস
দেড় নম্বরি — কিযী তাহ্নিন
আজ আমার বিয়ে হতে পারতো এবং এ অঞ্চলে নতুন একটি জিনিস আবিষ্কারের জন্য আমি নন্দিত হতে পারতাম। এমন কিছুই হলোনা, আমি তাই সবুজ রঙের নেইলপলিশের বোতল হাতে ভ্যাবাচ্যাকা চেহারায় বসে আছি। এই টিয়া সবুজ রঙের নে
গণ্ডার — রোমেল রহমান
নতুন সরকার ক্ষমতা দখল করার প্রথম সপ্তাহের শেষ দিন কয়েকটা গণ্ডার ছেড়ে দেয় রাজধানী শহরে, এবং ঘোষণা দেয় পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশে গণ্ডার ছেড়ে দেয়া হবে, এবং গণ্ডারের সেবা যত্ন করা নাগরিক দায়িত্ব হিসে
উদ্বাস্তু ভাষা — সৌর শাইন
এখানেও একুশ আসে, ভাষা স্মরণের সভা বসে, প্রাণের রণনে দোলা দিয়ে গাওয়া হয়,‘একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলতে পারি?’ বিশুর স্মৃতিরা এখন আর পূর্ববাংলাকে নিয়ে ভাবতে চায় না। তবুও ভাবনারা জড়ো হয়! ভয়ংকর
আফগানিস্তানের গল্প — মূল: ফ্রেশতা ঘানি — অনুবাদ: রুখসানা কাজল
ফ্রেশতা ঘানি ফ্রেশতা ঘানি আফগানিস্তানের নারী লেখক এসোসিয়েশনের সদস্য। তার লেখা প্রথম ছোট গল্প প্রকাশিত হয় তার ইশকুলের শিক্ষার্থীকালে। বর্তমানে স্বামীসহ তাজিকিস্তানে বসবাস করছ