Category "মুক্তগদ্য"

তবুও আমরা অসুখী ছিলাম সেইসব দিনে যখন চাইলেই ছুঁয়ে দেয়া যেতো থোকা থোকা ফুল, মধুমঞ্জরি কিংবা কাঠগোলাপ। দোকানির সঙ্গে দরদামে কেনা যেত আঙুর বেদানা, লাল ফেটে যাওয়া তরমুজ। আমাদের রিকসাগুলো আমাদের নিয়ে যেতো

দূরের সন্ধ্যা থেকে ফিরে ফিরে আসছে পুরোনোর ঝুপসি আঁধার। ক্ষীণ হয়ে যাওয়া একটা চেনা ডাকনাম ঢুকে যাচ্ছে বুকের অন্ধকারে। ফুলেদের ডাকনাম পেরিয়ে নামহীন পাখির সুর ভেতর বাজিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অজানার দিকে

দশভূজার কাছে হারিয়ে যায় কিশোর। চোঙায় বাজছে রোশন চৌকি। মাটির গায়ে রঙ। রঙের শরীরে ঘামতেল। ঘামতেলের উপর ডাকের সাজ। শিল্পীর হাতে ক্রমশ কেমন পুরাণ পুরাণ গন্ধ। আর বীরেন্দ্র কৃষ্ণের গম্ গম্ মহিষাসুরমর্দি

সংবাদনৈঃশব্দ্যের অন্তরে ধুলোপড়া ছুঁড়ে দিই। কী এত মশগুল তুমি!  সে যেন জানে না তার গ্রন্থিজটে আমিও কখন একা হয়ে গেছি। এদিকে চিরে চিরে সাইরেন বেজে পুরোনো হিংসাগুলো আকাশ থেকে ভারী বস্তার মতো ঝরে পড

বাজারে যেতে যেতে বয়স বেড়ে গেল । এখনো দরদাম করে এটা সেটা কেনার ধরণটা রপ্ত হল না । রোজই কিছু না কিছুতে ঠকে আসি । বেশি দামের ডাল নিতেই , মাপের হিসেবে কম দিয়ে দিল । দিল বিস্কুটের পিঁপড়েধরা প্যাকেট । প

১. ৮.২০ বেজে যায় আমার ঢুকতে ঢুকতে। স্কুল থেকে ৫৭৩ কদম হেঁটে এসে মৃদু মৃদু জমে ওঠা ঘাম নিয়ে ক্যাফের দরজার হাতলটা ঠেলি। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে ততক্ষণে দেখে ফেলেছি ক্যাফের ছেলেটা ক্লোজ বোর্ডটা ঘুরিয়ে

বহুদিন পর পুরনো বাড়ির উঠোনে ফিরে এসেছে সেই এক পায়ের শালিক। সারা দুপুর উঠোনের দক্ষিণ কোণে চুপটি করে বসে, যেন ধ্যানমগ্ন। বেলা পড়ে এলে গা-ঝাড়া দিয়ে সে উঠে বসে। ঘাড় বেঁকিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকায়। আমার চোখে

ছাদ জীবনে আছে ছাদ। ভাঙাচোরার দোতলায়, ঘুপচির ঠিক ওপরেই এই ছাদ। ছাদ মানে মধুপুর। ছাদ লাক্ষাদ্বীপ কিংবা মালাবার উপকূল। ছাদ হল গিয়ে শৈশব । নিজের সঙ্গে দেখা করবার এই একটিমাত্র স্থান আমার। ছাদে ফুলগাছ বলত

মাতাল প্রয়োজন যে ছেলেটা মদ খেয়ে ঘুমুচ্ছে, তাকে ডেকে দিন
বলুন- সময় হয়েছে।
ঘুমানোর মানুষ তো অনেকই আছে,
শহরের এখন একজন মাতাল প্রয়োজন। হৃদয়ের ছোটপাখি হৃদয়ের ছোটপাখি
আমি তোমাকে বুঝি
কিন্তু বলো কীইবা করতে প

টিপটপ সহজ যেভাবে অনুবাদ করে নেয় সময় ঠিক সেভাবে তাকালে এক কলম জলই উস্কে দেয় কোন রঙিন নদী। আমরা তাকে বহমানতা বলে খুশি হই। আসলে জলের স্কুলে হাঁটুর বয়স থেকেই জল  স্থির ও অস্থির । আমি যদি স্থির টা