এক দুর্গা বললেই আমার চোখে ভেসে ওঠে, পথের পাঁচালীর সেই ছোট্ট মেয়েটার চেহারা। যে তার ভাইয়ের হাত ধরে রেলগাড়ি দেখতে ছুটে যায়। তার মৃত্যুশায়িত অনুজ্জ্বল দুটি চোখ। গভীর ও মজা এক দিঘীর আদল।যেখানে তরঙ্গ
উৎসব থাকুক, না থাকুক … – অনির্বাণ ভট্টাচার্য
সে এক উৎসব ছিল আমাদের। কার কোন উৎসবে কোন পশুর ছটফট, কোন আদিমন্ত্রের তীব্র শেষ উচ্চারণ – সেসব বোঝার বয়স কোথায়! আমাদের তখন চোখ, মুখ চিনে রাখার বয়স। একটা ঘরে কজন এখন? নয় আট সাত। গুনতে গুনতে সংখ্যাটা
দোয়েলের চোখে কুকাবারা-কাজী লাবণ্য
মাসাধিক কাল আগে একদিন ভাতফোটার মতো সপ্রাণ কৌতূহল আর বুকে জড়ানোর এক অনির্বাণ ঢেউকে দমাতে না পেরে ইচ্ছেডানায় উড়াল দিলে জীবন পেয়েছিল এক অন্য মাত্রা। ঝরাপাতা নয়, যেন সবুজ কুশির উচ্ছ্বাস, যেন প্রশান্ত
হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল-নাহার তৃণা
সে ছিল দুই বেণির ঘোর কিশোরী বেলা। এখনকার মতো এক্সট্রা ক্যারিকুলার বোঝা চাপিয়ে দেবার বাধ্যতামূলক রেওয়াজ আসনপিঁড়ি হয়নি তখনও। হলেও আমার মা-বাবাকে যে তাতে কাবু করা সহজ হতো না, সে বিলক্ষণ জানি। কর্তার
নীল শালুকের আকাশ-মৃন্ময় চক্রবর্তী
কঙ্কাবতীর মাঠ ভরে আছে জলে। কোথাও রাজপুত্র কোটালপুত্র নেই। তাদের ঘোড়াগুলো ভেসে গেছে কোথায় কে জানে! মাঠের ভেতর ওই যে একখানা সাঁইবাবলার গাছ, সেখানে ব্যঙ্গমা-ব্যাঙ্গমিরও সাড়া নেই। শুধু টলমল জলে ফুটে আছ
আমাদের গেছে যেদিন একেবারেই কী গেছে!-সঞ্জয় সাহা
১) এই পঞ্চাশ বছর বয়সে এসে একাডেমি, নন্দন, বইমেলা আমাকে ঘিরে রাখলেও বা মাসের বেশ কয়েকদিন কলকাতাতে থাকলেও, আমার জন্ম শৈশব, কৈশোর ও এখনো স্থায়ী বাস কিন্তু রূপসী বাংলার প্রান্তিক জেলা
পাতার চশমায় চোখ-সাদিয়া সুলতানা
ছোটবেলায় পাতার চশমা পরেছি। নারিকেল গাছের কচকচে সবুজ পাতা দিয়ে সেই চশমার ফ্রেম আর শুকনো পাতার শলা দিয়ে ডাঁট বানানো হতো। চশমার খোলা দুই দুয়ার দিয়ে তখন আশ্চর্য সুন্দর পৃথিবী দেখতাম। পৃথিবীর একেকটা স
সেই সব উৎসব-সমরজিৎ সিংহ
কুমেই । বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রায় সকল উৎসব মানে কুমেই । আবার এই ভাষায় শ্মশানের চিতাকে বলা হয় ‘কু’ । মেই মানে আগুন বা আলো । কু+মেই > কুমেই । প্রায় সকল উৎসব তাদের কাছে কুমেই । যার এক মানে দা
এত অন্ধকার আগে ছিল কি?-সমরজিৎ সিংহ
================================================================ ================================================================ এজাজ আহমেদ, এক সাক্ষাৎকারে, আমাদের জানাচ্ছেন, ‘ফ্যাসিজম’ ‘আল্ট্রান্যাশ
গণ-কুরুক্ষেত্র ও উত্তর আধুনিক কুটিল শাস্ত্র-পার্থ কর
গণতন্ত্র বিপন্ন— কত সরল এই ছোট্ট বাক্যবন্ধ! বলতে বলতে যেন ক্লিশে হয়ে গেছে। কিন্তু এর বহুমাত্রিকতা, এর গভীরতা এবং ভবিষ্যত প্রভাবের সুদূরপ্রসারতা— এসব আলোচিত হয়ে ওঠার পরিসরগুলোও সংকুচিত হয়ে আসছে। বিপন্ন
