ট্রেন অনেকক্ষণ ধরে চলছে। ট্রেনটা ভালো যাচ্ছে। অনেকক্ষণ ধরে সবুজ দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু অংশ বেশি সবুজ। ধানক্ষেত আর ধানক্ষেত। মাঝে মাঝে বাড়ি। স্টেশন। সব স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ায় না। ট্রেনের দায় আছে, তাড
মোহর-প্রসেনজিৎ দত্ত
গুলমোহর গাছটিকে পৃথিবীর মনে হয় না। সে অপাপবিদ্ধ। হামেশাই আত্মীয়তা বহির্বিশ্বের সঙ্গে। গাছটির শিকড় ছুঁয়েছে ভৌমজলে। ওখান থেকেই জীবন পায়। বাড়ে। বাড়তে বাড়তে ফুল হয়। ঝরে। আবার ফুল… এভাবেই বারো ম
কবিতা- ফজলুল কবিরী
ডিপ্রেশনগুলো বহুদিন দাঁড়াইনি প্রার্থনায়
তবু দূরের পুলসিরাতের পাশে নির্জনে, একেলা ঘরে দেখি
রাম-সীতা-নবিজির অনুগামী মানুষের ভীড়
কাঁদিতেছে স্পর্শে, ছাপিয়ে কাঁধের ভার অন্য
কোনো ভূগোলের সীমান্তে, তীর্থের
একগুচ্ছ কবিতা-দীপকরঞ্জন ভট্টাচার্য
স্বীকারোক্তি আমি মানসীকে চিনতাম। সে আমার সময়কে ছুঁয়ে ছিল। তার মুখের মধ্যে গলে যেত কবেকার মুখ, যেন ঝড়ের বাগানের ফোয়ারা , তার ঠোঁটের মধ্যে আরও কত হারানো ঠোঁটের জ্যোৎস্নাদাগ। আমি দেখেছি তাকে – এক লতানে দ
কমরেড অসুর ও শরৎকালের আমাদের প্রার্থনা-রাণা রায়চৌধুরী
এই যে তিনজন পুরুষ, গণেশ কার্ত্তিক অসুর, এদের মধ্যে বন্ধু হিসেবে তোর কাকে বেশি ভাল লাগে? আমি কি উত্তর দেব বুঝতে পারছি না। আমি চড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে বোকার মতো হাসি। চড়াইয়ের দুষ্টু
সেখানে বৃষ্টি মানায়-শতাব্দী দাশ
১.
ঘুম ভেঙে বুঝি আজ
বৃষ্টি হবে না। আজ কোলাহল, ভিড়ভাট্টা
দু:সংবাদ। আজ দিনটার গায়ে অনন্ত ধুলো।
আকাশের মুখপেশি শিথিল হতে গিয়ে
সামলে নিয়েছে বেশ। কষ্ট ও কান্নার মাঝে
বৃষ্টির বারান্দা ছিল।
আজ নেই। আজ পরবাস।
তিনটি মুক্তগদ্য-সাদিয়া সুলতানা
১. গর্ভেশ্বরী এই চওড়া সবুজ ফিতেটাকে আমরা নদী বলে ডাকতাম। যদিও আঁতুড়ঘরে যাওয়ার আগেই গর্ভেশ্বরী নদীর মৃত্যু ঘটেছে। আর সুযোগ বুঝে মৃত নদীর কবরটাকে আমরা সবুজ দিয়ে বাঁধাই করে ফেলেছি। দৃশ্যত
শাদাসন্ধ্যার গোরু— নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়। ফজরের আযানের পর থেকে হাঁটছে জয়নব বেগম—হাতে একটা দড়ি, দড়িতে বাঁধা একটা গোরু। তার মন-মেজাজ আজ এতটাই ফুরফুরে যে নেচে নেচে গান গাইতে মন চাইছে, কিন্তু অভ্যাস না থাকায় গাইতে পার