১. পেখম অনতিকাল রাঙানো গাল
ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিতেই—
শিহরণের রঙের ছটা ঝোপের আড়টিতেই ! হে প্ররোচন , এ শুভক্ষণ
আড়াল চাই ওদের,
আদিরঙ্গ, দেহসঙ্গ ছায়া এবং রোদের ! ২. দীক্ষা হস্তিনাপুরে কৃষ্ণ এলেই
কৃষ্ণা আত্মহারা !
বিশুদ্ধ কবিতায় আতুর র্যাঁবো-প্রসূন মজুমদার
‘স্পেক্যুলেটিভ ফিকশন’-এর বিষয়ে যেসমস্ত বাঙালি পাঠকের কিঞ্চিৎ জ্ঞানগম্যি আছে তাঁরা নিশ্চয়ই এতোদিনে শিবব্রত বর্মনের ‘বানিয়ালুলু’ নামক গল্পের বইটির সঙ্গে পরিচিত হয়ে গেছেন।ওই বইয়ের
ওবায়েদ আকাশের দশটি কবিতা
গগণ ঠাকুর : গণিতজ্ঞ গগণ ঠাকুর গণিতজ্ঞ ছিলেন
লিটল ম্যাগাজিনের দুর্মূল্য খাঁচায় তার নাম
যাদুঘরের প্রহরী বেষ্টিত উজ্জ্বল হয়ে আছে জীবনে প্রথম তিনি ভাষাবিজ্ঞান থেকে নেমে
লোকসংস্কৃতির দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন
তাদের সংশ্লিষ্ট বর্তমান-শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
১ আমাদের ফেব্রুয়ারি সামান্য একধরনের ঔজ্জ্বল্য আচমকা বিদ্যুৎ শুধু জঙ্গল অথচ তার অদূরেই ব্রিজ অপরিহার্য রাস্তা যেমন বজ্র ও দিগন্ত, যেমন কল্পনাতীত তুষার ও ডুলুং নদী তেমনই আমার কথা, যেমন বাড়িকে তার ভিত সম
বঙ্গদেশীয় কবির জীবনচরিত-তথাগত
১ পাথর ভাঙতে বসে শেষ হলো আমাদের প্রতিভা, সঞ্চয়, শক্তি। কখন যে ভোঁতা হয়ে গেছে ছেনি, বাটালি, হাতুড়ির ঘায়ে শব্দ ওঠে না মর্মর।
নিজের মূর্তি ভেঙেছি। সহাস্য দিনগুলি টুকরো টুকরো করে ভেঙে এ কোন দুর্বিপাক
দশটি কবিতা-সৌমনা দাশগুপ্ত
শ্বাসমূল তারপর আস্তে আস্তে গাছ হয়ে ওঠে সেই গান
শিকড় ছড়াল বুকে শ্বাসমূল নোনা মাটি, মাটিতে পায়ের ছাপ
দক্ষিণরায়ের মুখোশ। গানটি সেজেছে
চাক ভেঙে মধু আনে
আনে শ্রিম্প ও শ্রাবণ, ভরাকোটালের রাত চুপিচুপি গান উঠ
আদুনিস-এর কবিতা-দীপকরঞ্জন ভট্টাচার্য
এক কথায় বলা যেতে পারে – তাঁর কবিতা, অবিনির্মাণের কবিতা। ফুল কোথায় সেখানে — শুধুই পাথর, নারী নেই — আছে ক্ষতবিক্ষত দেশ, আছে রুদ্ধ মাতৃভাষা, আছে মরুঝড় আর বিদ্যুৎচমকিত ক্ষীণ প্রেমাভাস। পরাজিত ঈশ্বর সে
দশটি কবিতা- দিলারা হাফিজ
খুঁজে ফিরি ভিক্ষালব্ধ জ্ঞান শেষবার আমি সত্য উচ্চারণ করেছি
খনার কর্তিত জিহবায়
তোমরা কী আমাকে এখন চেনো আর,
অনেক আগেই আমি ছেড়ে গেছি
তোমাদের বিস্ময়-ভার….
বলা ভালো ছাড়িয়ে গেছি আমি পরস্পরের দ্রোহের সংসা
অবোলা জীবের কথা যেমন-রাণা রায়চৌধুরী
আমি রাস্তা সুদূরের পথে চলেছে
রাস্তায় একটি গরু – নিষ্পাপ, সাদা
মালিকের সন্ধানে চলেছে সুদূরের পথে
মালিক সুদূরে থাকেন, মালিক ছড়িয়ে থাকেন চারিদিকে
গরুটির গলা অবধি অসীম রাস্তা,
গরুটির মালিক নেই, গোয়াল নেই
ব্যথা-পথের পথিক তুমি-কুমার চক্রবর্তী
‘ব্যথার তির বিঁধে আছে বুকে, বিঁধে আছে বলেই কষ্ট পাচ্ছি, কিন্তু এটিও সত্য যে তিরটি খোলামাত্রই মারা যাব আমি। ’ -১৮১৩ সালে জন্ম-নেওয়া এক একাকী মানুষ যখন এ কথাটি বলেন তখন কে জানত তাঁর থেকে এক