গত শতাব্দির নব্বই দশক। দুই দশক সময়ের পরেও উক্ত দশকের কবিতার প্রবণতা নিয়ে কিছু বলার আগে বলতেই হয়—দশকওয়ারী কবিতা বিচারের কোনো মানদণ্ড হতে পারে না। কবিতার আলোচনায় দশক বিবেচনা অনেকের কাছে অবান্তর প্র
জীবনস্মৃতি:টোমাস ট্রান্সট্রোমার-ভাষান্তর:সৌম্য দাশগুপ্ত
স্মৃতিগুলি ‘আমার জীবন’। শব্দগুলো ভাবলেই চোখের সামনে ডোরা-কাটা আলোটা দেখতে পাই। ভালো করে দেখলে টের পাই যে এই আলোটা খানিকটা ধূমকেতুর মতো। মাথার উজ্জ্বল দিকটা হলো আমার ছেলেবেলা আর বড়ো হয়ে ওঠা। সববেকে ব
আত্ম থেকে অনন্তে যাত্রা-তমাল রায়
কবিতা কী? ভাষা সমুদ্রের গহীন থেকেই বুদবুদসম উঠে আসে মানবচেতনা? না’কি ঈশ্বরকণা? ব্ল্যাকহোল থেকে উৎসারিত নতুন সম্ভাবনার দ্যোতক? না’কি সত্যের খোঁজ?দলমা পাহাড়ের দিনগুলির কথা মনে পড়ে যায়। সূয্যি মামা পাটে
গুচ্ছকবিতা –অনির্বাণ চন্দ
জেহাদ দিঘির পাড়ে এসে বসি কান পেতে শুনি
সমবেত উলুধ্বনি, ঢিমে তেতালা — গভীর জলের আয়নায় বিষণ্ণ আলো জেগে ওঠে… শ্বেতপত্র এইসব গড়িমসি নিয়ে ভেসে গেল কাকচক্ষু জল
খামে ভরা নিরুত্তর সাদা পাতায় লুকিয়ে পড়ছি ফের
শীতকাল আর প্রজাপতি-কৌশিক চক্রবর্তী
১ শিস চেপে রেখে ছায়া মাপার এই খেলা কোনো না কোনো সময়ে বোঝাই যায়।
ঘড়ির ভেতর থেকে প্রজাপতিদের টেনে টেনে তুলে আনলেও পরিত্যক্ত কোন বারান্দাহীন বাড়িতে তাদের কেবল গান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব। সূর্যাস্ত
মাস্তুলের জ্বর-নকিব মুকশি
১৩ ঠিক যেন ফুটে আছি গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ,
তুমি যেন ঘিরে আছ ডেভিস প্রণালি…
শাখায়–পাতায় ভরা এক প্যানোরামা—
ট্রাইবাল লাইফ যেন বুকে এসে হাঁটে
রূপের জৌলুশে লিখি আত্মহত্যানামা! রয়ে রয়ে কোন বুকে প্রবাহিত বক
সম্ভাবনার কবিতা-স্বপন রায়
১.
বুকের জায়গায় সুখটুকু সরিয়ে
মিশর লিখল
মুছে দিল নেভারোদ
ধ্বনি হারানো হলুদ ব্রিজ পেরিয়ে খ’সে পড়া রেশমের সঙ্গে
ক্রমাগত গুটিপোকার সঙ্গে আসার সময় ফুটল যে পেট্রোল পাম্প
ছাই হয়ে গেল গায়ে আগুন দেওয়ার গল্প ম
গুচ্ছকবিতা-অলোক বিশ্বাস
ওহ নন্দলাল গাছকে শুয়োর বলছো
নদীকে শুয়োর বলছো
হাওয়াকেও একই নাম…
এবং সুন্দরটাও ধূসর।
নীল ক্যানভাসগুলোর
সবখানে শূকরের নাম…
হৃদয় ঘোঁতঘোঁত করে
গানগুলো গর্জন করে।
ভালোবাসায় নগ্নচোর…
পরবাসে বুঁদ নগ্নধ্
গুচ্ছকবিতা-বঙ্গ রাখাল
কবি কাকডাকা ভোরে নৈঃশব্দ্যের ছায়া মাড়িয়ে౼তুমি বসেছিলে এই বটতলে౼প্রিয় স্ত্রীর হাত ধরে শনাক্ত করতে চাইলে মধুমেলার প্রতিটি কোণার দূরত্ব। শালিকের উড়ে যাওয়া চলচ্ছায়াও মাপতে চাও তুমি౼কারা তোমাকে বেশি মনে রা
‘বর্ষামঙ্গল’ ও অন্যান্য সনেট-কাজী নাসির মামুন
বর্ষামঙ্গল তুমি নাই, এমন নিভৃতি আজো বিফলে হারাই
অঝোর বৃষ্টির দিন পৃথিবীতে এসেছে আবার
বাঁশপাতা জবুথবু, গাছের সবুজ অবতার
গলিত মেঘের প্রেমে স্নান সারে, তুমিও কি তাই
স্মৃতির বাদল দিনে ভিজে গেছো আমাকে ছাড়া