আমাদের বাড়ি বারুইপুরে আমি আমার ব্যক্তিগত ভুলে যাই
একটি কাঠ, তুমি কীভাবে থাকো অর্বাচীন?
সব ধুয়ে যায় —ধৌত হয় মহান
মহানের ধুলোবালি বেরিয়ে পড়ে
পুজো হয় পার্বনের মতো, —ধুতি পরা কিশোর দেবতা
নগর ভিক্ষুকেরা
গুচ্ছকবিতা-মুক্তি মণ্ডল
তুমি, মায়ার স্রোতস্বিনী বিজলি প্রভায় ডুবে থাকা মানুষেরা
সর্বভুক, পান করে শস্যসুরা
ঘুমের ভিতর ভুলে যায় আরাধনা
মনে মনে গড়ে নিজস্ব পরমা
এইসব মানুষের প্রাণে আছ তুমি
যেন সৃষ্টি তরঙ্গের যোনি
যেন ডালিমাভার ম
সুব্রত সরকারের কবিতাগুচ্ছ
অথ রহস্য-রাক্ষস কথা ১
ঠিক দুপুরবেলা পানগাছের ছায়ারা হেঁটে বেড়ায়। যাঃ! তা আবার হয় না কি? হয়। যেবার চাঁদের শকটে করে ছেলেরা বারুদ নিয়ে এসেছিলো, স্বপ্নের আলোয় ভেসে
যাচ্ছে চরাচর, যশোর রোডের দুপাশের সেই গাছ
শামীম রেজার দশটি কবিতা
লক্ষ্মিণী টোটো লক্ষ্মিণী টোটোর কথা কেন মনে পড়ে? টোটো পল্লীতে যাইনি কোনোদিন যাইনি তো তার ঘরে।
তবে তেলিপাড়া চা বাগানে প্রথম দেখেছি তাকে
যিনি বলেছেন… কেওয়া(জন্ম) আর শিপুয়া(মৃত্যু) দুই ভাইবোন নৈঃশব্
অর্পিতা কুণ্ডুর কবিতা
সারণী ‘ওই দূরে দূরে আলো জ্বলছে কুঁড়ে ঘরে, ও কার ঘর, অর্পিতা?’— আমার আমার বলে ছুটে যাই পথে
ধুধু ওড়ে, তীব্র রাগ, অঙ্গের বসন ওড়ে
ক্লান্ত মুখের ছায়া বুকে ওড়ে, দেখি ঐরাবত
দেখি সুখের মাজারে জল দিই, পানি আব্
দশটি কবিতা-সৈয়দ কওসর জামাল
নশ্বর বাঁচতে চাই এ সংসার নশ্বরতা ছেড়ে আকাশসাঁকোটি পেরোতে চেয়েছি ধাক্কা খেয়ে নীচে পড়ে যাই আবার ওঠার চেষ্টা করি বুঝে যাই পতনশীলতা রক্তে পেয়েছে প্রশ্রয় এ সময় বিষণ্ণতা আমার আশ্রয় আমি তাকে প্রতিপালনের কথা
কবিতার ক্যালেন্ডার-অগ্নি রায়
জানুয়ারি ঠোঁটের বিপ্লব হল, রক্তস্বাক্ষী
চামড়ার বিপ্লব জানে উত্তুরে রসিকা
কোল্ডক্রিম সুরভিত মুখের আদলে
রোদ্দুর এতই গ্রাহ্য মৃন্ময় মধুর।
অন্ন গন্ধ হু হু করে, ভোজবাজি,
সার্কাস, বিষন্ন জোকারের কাছে ঋণ
এ
ইমন ভট্টাচার্যর দশটি কবিতা
যারা এসেছিল যারা এসেছিল ,একে একে চলেও গেল।
এখনো তাদের জয়যাত্রার বিউগল বাজছে।
রয়ে গেল অজানার অন্ধকার,
বহুকালের কালো হ্রদের তমিশ্রা।
আসর ভাঙলে যে যার গন্তব্যে যেতে চায়।
একলা চল রে!
একলা কোথায় যাব তা তো
দশটি কবিতা-মাসুদ খান
ভাঙচুর এখন বেঘোর বর্ষাকাল, মহাশূন্যে। রেডিও ঢেউয়ের ঢল নেমেছে আকাশযমুনায়। ভরা প্লাবনে, প্রবাহে উজিয়ে চলেছে অগণিত জ্যোতির্ময় মাছ।
এ মুহূর্তে রাতের আকাশ যেন এক স্ফুলিঙ্গখচিত তুঙ্গ তেজস্ক্রিয় উদয়তারার শাড়
দশটি কবিতা-জুয়েল মাজহার
স্নায়ুডাল হাওয়া বয় স্নায়ুডালে
লকুচ ফলেরা সব স্তনের বোঁটার মতো দোলে শাঁসে-বীজে মধু, নেশা
জিভে জিভে লবণ-শুশ্রূষা কোষে কোষে গাঢ় লীলা
কোষে কোষে ঝরে পড়ছে সোনা… মায়াকোল, অখিল বিবর রক্তলাগা খড়্গহাতে কালী এসে