১. পেখম অনতিকাল রাঙানো গাল
ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিতেই—
শিহরণের রঙের ছটা ঝোপের আড়টিতেই ! হে প্ররোচন , এ শুভক্ষণ
আড়াল চাই ওদের,
আদিরঙ্গ, দেহসঙ্গ ছায়া এবং রোদের ! ২. দীক্ষা হস্তিনাপুরে কৃষ্ণ এলেই
কৃষ্ণা আত্মহারা !
ওবায়েদ আকাশের দশটি কবিতা
গগণ ঠাকুর : গণিতজ্ঞ গগণ ঠাকুর গণিতজ্ঞ ছিলেন
লিটল ম্যাগাজিনের দুর্মূল্য খাঁচায় তার নাম
যাদুঘরের প্রহরী বেষ্টিত উজ্জ্বল হয়ে আছে জীবনে প্রথম তিনি ভাষাবিজ্ঞান থেকে নেমে
লোকসংস্কৃতির দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন
দশটি কবিতা-সৌমনা দাশগুপ্ত
শ্বাসমূল তারপর আস্তে আস্তে গাছ হয়ে ওঠে সেই গান
শিকড় ছড়াল বুকে শ্বাসমূল নোনা মাটি, মাটিতে পায়ের ছাপ
দক্ষিণরায়ের মুখোশ। গানটি সেজেছে
চাক ভেঙে মধু আনে
আনে শ্রিম্প ও শ্রাবণ, ভরাকোটালের রাত চুপিচুপি গান উঠ
দশটি কবিতা-শুভাশিস মণ্ডল
আমি আমি এখনও অব্দি বেশি কিছু রচনা করিনি । আমি এযাবৎ কিছুই রচনা করিনি তাও নয় । প্রত্যহ ভেবেছি, বেঁচে থেকে নিজেকে ছাড়া আরও ভালোভাবে আর কী রচনা সম্ভব ? বরং আকাশে যেখানে অন্ধকারে অবিরল বৃষ্টি ঝরে, সেখানে
দশটি কবিতা-সোহেল হাসান গালিব
অধিকার সমগ্র পৃথিবী নয়, একটি তৃণের অধিকারই যথেষ্ট আমার। যেন একটি রোমের ছোট্ট কূপে মধুপের আলতো ফুঁয়ে নিমেষেই ঢুকে যেতে পারি। যেন বেজে উঠি ওই হাড়ের বাঁশিতে একা, চুপে;
ভেসে যাই সুর হয়ে—ঝরে-পড়া পাতার সওয়া
মাতৃরঙ্ সিরিজ থেকে-হিম ঋতব্রত
নয় দ্যাখো মা ছাড়া বাড়ি-ঘর কেমন
কৃষক ছাড়া ফসলি জমির মতো শ্রীহীন ঝোপঝাড়— আগাছায় পূর্ণ… গরু, মোষ, ছাগলও যেখানে চড়ে না! .
দশ একজন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যুর পর :
মা ও সন্তান ভূ-গর্ভে ঘুমালে
মাটির দেহ মাটিতে
গুচ্ছকবিতা-সৌমিত বসু
১
জেনেছি তোমায় আমি
যেভাবে সমুদ্র চেনে তীব্র বালুকনা
একটি জীবন থেকে ঝ’রে পড়া আহত রাত্রিকে
কাঁধে করে হেঁটে চলে সন্ধ্যার নিভে আসা আলো।
সেই আলো মুক্ত হ’য়ে ফুটেছে তোমার মুখে
ওগো চেনামুখ,
আমাকে পেরিয়ে তুমি
গুচ্ছকবিতা-শ্বেতা শতাব্দী এষ
সংবেদ কেউ পারে না লিখতে তোমার হয়ে তোমার জীবন পাহাড় পারেনি পড়তে চুপ থাকা মুহূর্তের স্বর তোমারও ভুল ছিল সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসা অপার অক্ষর সবটুকু জাগরণ দিয়ে শুধু খুঁজেছ আলো ঘুমের ভেতর পাহাড়ের কোলে সমুদ্র শু
গুচ্ছকবিতা-রুদ্রদীপ চন্দ
ভান প্রিয়তমার মুখ নয়, হাত পাখার বাতাস গান ডেকে আনে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ঠ্যাঁটা আলো, এঁটো বোধ, কৃতঘ্ন অন্যমনস্কতা… পরিতৃপ্ত রাগমোচনের ধ্বনি শুনে শিউরে শিউরে উঠি। ভালোবাসা ষড়যন্ত্রী। হুবহু অন্য এক আমি-কে