সে এক উৎসব ছিল আমাদের। কার কোন উৎসবে কোন পশুর ছটফট, কোন আদিমন্ত্রের তীব্র শেষ উচ্চারণ – সেসব বোঝার বয়স কোথায়! আমাদের তখন চোখ, মুখ চিনে রাখার বয়স। একটা ঘরে কজন এখন? নয় আট সাত। গুনতে গুনতে সংখ্যাটা
মায়া-রুখসানা কাজল
যজ্ঞডুমুর গাছগুলোর গায়ে ভয়ঙ্কর ক্ষয় ধরেছে। মাটি মাটি হয়ে গেছে গাছের গোঁড়া, বয়েসি বাহুগুলো। পিঁপড়ে, উল্লা আর মাজুলি পোকারা ফুটোফালা করে দিয়েছে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকা গাছগুলোর শরীর। তবু থোকায় থ
দোয়েলের চোখে কুকাবারা-কাজী লাবণ্য
মাসাধিক কাল আগে একদিন ভাতফোটার মতো সপ্রাণ কৌতূহল আর বুকে জড়ানোর এক অনির্বাণ ঢেউকে দমাতে না পেরে ইচ্ছেডানায় উড়াল দিলে জীবন পেয়েছিল এক অন্য মাত্রা। ঝরাপাতা নয়, যেন সবুজ কুশির উচ্ছ্বাস, যেন প্রশান্ত
বিসর্জনের সুর-দেবদ্যুতি রায়
এক মন্দিরের বারান্দায় সেই সকাল থেকে উচ্চগ্রামে একটার পর একটা গান বেজেই চলেছে। ভজন, কীর্তন থেকে শুরু করে হালের হিন্দি, কোনোটাই বাদ নেই এই গানের তালিকায়। ছেলেপুলের একটা বড় জটলা সব সময়েই লেগে থাকে ম
জবাকুঁড়ি কিংবা পিউকাঁহা পাখি-সুজন সুপান্থ
দূরের সন্ধ্যা থেকে ফিরে ফিরে আসছে পুরোনোর ঝুপসি আঁধার। ক্ষীণ হয়ে যাওয়া একটা চেনা ডাকনাম ঢুকে যাচ্ছে বুকের অন্ধকারে। ফুলেদের ডাকনাম পেরিয়ে নামহীন পাখির সুর ভেতর বাজিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অজানার দিকে
গুচ্ছ কবিতা-মণিকা চক্রবর্তী
ডাকবাক্স কৃষ্ণচুড়ার ছায়া কাঁপছে শিরশির সুর নেমেছে আকাশ থেকে
আমার কানে বাজছে তিরতির
চিঠি নিয়ে,ঘরে ফেরার,অপার সুখে।
নীরবতার বিচ্ছিন্নতার, ছায়ার নীচে
হাঁ -করা সেই ডাকবাক্স,বড্ড লাল
নীল খামেতে,তোমার চিঠি,
গুচ্ছ কবিতা-আসমা চৌধুরী
১.
আমাদের সাথে কেউ নেই আজ
একাই আকাশ খুঁজি তোমার চিবুকে রোদ খেলা করে এক জীবনের পুঁজি. ২.
পেছন ফিরে বসে থাকে মন
কারো মুখ দেখতে পায় না… ৩.
চেনা চরিত্র পাঁপরের মত ভেঙে গেলে
চোখের জল চোখের কাছেই গোপন… ৪.
য
হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল-নাহার তৃণা
সে ছিল দুই বেণির ঘোর কিশোরী বেলা। এখনকার মতো এক্সট্রা ক্যারিকুলার বোঝা চাপিয়ে দেবার বাধ্যতামূলক রেওয়াজ আসনপিঁড়ি হয়নি তখনও। হলেও আমার মা-বাবাকে যে তাতে কাবু করা সহজ হতো না, সে বিলক্ষণ জানি। কর্তার
নীল শালুকের আকাশ-মৃন্ময় চক্রবর্তী
কঙ্কাবতীর মাঠ ভরে আছে জলে। কোথাও রাজপুত্র কোটালপুত্র নেই। তাদের ঘোড়াগুলো ভেসে গেছে কোথায় কে জানে! মাঠের ভেতর ওই যে একখানা সাঁইবাবলার গাছ, সেখানে ব্যঙ্গমা-ব্যাঙ্গমিরও সাড়া নেই। শুধু টলমল জলে ফুটে আছ
আমাদের গেছে যেদিন একেবারেই কী গেছে!-সঞ্জয় সাহা
১) এই পঞ্চাশ বছর বয়সে এসে একাডেমি, নন্দন, বইমেলা আমাকে ঘিরে রাখলেও বা মাসের বেশ কয়েকদিন কলকাতাতে থাকলেও, আমার জন্ম শৈশব, কৈশোর ও এখনো স্থায়ী বাস কিন্তু রূপসী বাংলার প্রান্তিক জেলা
