কাশ ফুলের হেলদোলে কোনো তফাৎ নেই। তফাৎ নেই শরতের গণ হূজুগে। তবু, ‘কী যেন একটা ফেলে এসেছি পাশের ঘরে’- এই লব্জ ইলিয়াসের গল্পের হলেও শারদ উৎসব সম্পর্কে পরিস্কার লেগে যায়। কী যেন একটা ফেলে এসেছি- এ প্রশ্
গুচ্ছকবিতা-হোসেন দেলওয়ার
রাধা শীত— ফুলের ঋতু, যদিও বসন্তে ভুল করে ভ্রমর যে-কোনো ভঙ্গির থেকে শিথিল হয়ে ওঠে। মায়া-বাঘিনীর হাতছানি উপেক্ষা করে নিদ্রামগ্ন হরিণ অমিশ্র মেঘের কাছে ছায়া চায় দেখো নির্ভার-আতঙ্কে কারো হিম হৃদপিণ্ড ছি
গুচ্ছ কবিতা-সাবেরা তাবাসসুম
পুরাতনী ১.
বাঞ্ছা করি, বাঁধন বিনেই জাগবে এবার মায়ার খেলা তোমার সকাল-সন্ধ্যা কামাই, তোমার ঘোরেই রাত্রিবেলা বাঞ্ছা করি, কাজল ছাড়াই পড়বে ও চোখ আমার চোখে এক নজরে তোমার যতন, আর নজরে দুষবে লোকে বাঞ্ছা করি,
গুচ্ছকবিতা-মোস্তাক আহমাদ দীন
দুঃখ একলা নদের দুঃখে ভেসে যেতে ইচ্ছে করে, নদী স্রোতমুখ এখনো অচেনা
তাদের পূর্বস্মৃতি রাত্রিদিন এখনো তাড়ায়
আগুন—লাভার তাপে দগ্ধ হয় বুক কখন আসবে মারি, ঝড়ঝঞ্ছা, তারাপোড়া বালি স্বপ্ন দেখে, কেউ তাকে, স
ফেরা-স্মৃতি ভদ্র
শুধু বাড়িটিই নয়, তার চারপাশও খুব জমজমাট হয়ে উঠেছে আজ। শ্রীহীন বাড়িটিকে পুরোদস্তুর উৎসবের আমেজ দিতে বাড়ির মানুষ দু’টো বলতে গেলে সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছে। এর সাথে গ্রামের অন্য সব মানুষদের কথা উল্ল
বাড়ির পুজোয়-সমীর দে রায়
আমার জন্ম গ্রামে, অতিশৈশবও কেটেছে গ্রামের বাড়িতে, তারপর গ্রাম ও মফস্সল মিশিয়ে শৈশব ও কৈশোর। শৈশব ও কৈশোরের পড়াশোনা মফস্সলের ইস্কুলে হলেও শীত, গ্রীষ্ম ও পুজোর ছুটিতে আমি গ্রামের বাড়িতেই ঠাকুরদা-ঠ
বদলে যাওয়া দিন-কল্পোত্তম
দুর্গা পূজা বলতেই আমাদের মনে একটা বিবাহিতা নারীর কথা মনে আসতো। যেন বা ঘরের মেয়ে। টানা টানা বড় বড় চোখ। সিঁদুর রাঙা কপাল। আলতা পেড়ে শাড়ি। আলতা রাঙা পা। ফি ব
ভোরবেলাকার গন্ধ-তিলোত্তমা বসু
‘এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় ’ …. এ গান ঠিক সন্ধেবেলাই বেজে উঠবে । গীতা দত্তের কন্ঠে হাজার রকম সুগন্ধফুলেদের আসর বসে । নানান গান গাওয়া পাখিরা উড়ে উড়ে এসে বসে । ভিজে ভিজে জ্যোৎস্নায় আমার ছো
ব্যাকডেটেড-শান্তনু ভট্টাচার্য
পঞ্চমীর চাঁদের গায়ে লেগেছে শোক
হাইওয়ের পাশে পরিত্যক্ত জমির
কাশফুলে লেগে আছে রক্তের দাগ কংক্রিটের রাস্তায় কাগজের শিউলি ফুল থিম আর থিমের জ্বরে উত্তাল শহরে শো- অফের আনলিমিটেড কম্বোপ্যাক রাজার বাড়িতে
শিকারি বিড়ালের গোঁফ-সরোজ দরবার
পা টিপে টিপে এগোচ্ছে বিড়ালটা। যেন পাক্কা খুনি! সামনে টার্গেটকে দেখে নিঃসাড়ে এগিয়ে চলেছে। বোধহয় বাতাসে নিঃশ্বাসও পড়ছে না, পাছে শব্দ হয়। খুনির চলন এর আগে কখনও দেখেননি মনোরঞ্জন। তবে, খুনি কথাটাই মাথায় এল
