‘দাদা, মাকে একবার সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানোর ব্যবস্থা কর’। মিলির মুখটা থমথম করছে। বাবার শ্রাদ্ধ মিটেছে মাসচারেক হলো। তখন মিলি একবার এসেছিল। তার পর এই আবার আসা। মেয়েটাকেও নিয়ে এসেছে, সামার ভ্যাকেশনটা এখ
হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল-নাহার তৃণা
সে ছিল দুই বেণির ঘোর কিশোরী বেলা। এখনকার মতো এক্সট্রা ক্যারিকুলার বোঝা চাপিয়ে দেবার বাধ্যতামূলক রেওয়াজ আসনপিঁড়ি হয়নি তখনও। হলেও আমার মা-বাবাকে যে তাতে কাবু করা সহজ হতো না, সে বিলক্ষণ জানি। কর্তার
নীল শালুকের আকাশ-মৃন্ময় চক্রবর্তী
কঙ্কাবতীর মাঠ ভরে আছে জলে। কোথাও রাজপুত্র কোটালপুত্র নেই। তাদের ঘোড়াগুলো ভেসে গেছে কোথায় কে জানে! মাঠের ভেতর ওই যে একখানা সাঁইবাবলার গাছ, সেখানে ব্যঙ্গমা-ব্যাঙ্গমিরও সাড়া নেই। শুধু টলমল জলে ফুটে আছ
আমাদের গেছে যেদিন একেবারেই কী গেছে!-সঞ্জয় সাহা
১) এই পঞ্চাশ বছর বয়সে এসে একাডেমি, নন্দন, বইমেলা আমাকে ঘিরে রাখলেও বা মাসের বেশ কয়েকদিন কলকাতাতে থাকলেও, আমার জন্ম শৈশব, কৈশোর ও এখনো স্থায়ী বাস কিন্তু রূপসী বাংলার প্রান্তিক জেলা
পাতার চশমায় চোখ-সাদিয়া সুলতানা
ছোটবেলায় পাতার চশমা পরেছি। নারিকেল গাছের কচকচে সবুজ পাতা দিয়ে সেই চশমার ফ্রেম আর শুকনো পাতার শলা দিয়ে ডাঁট বানানো হতো। চশমার খোলা দুই দুয়ার দিয়ে তখন আশ্চর্য সুন্দর পৃথিবী দেখতাম। পৃথিবীর একেকটা স
সেই সব উৎসব-সমরজিৎ সিংহ
কুমেই । বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রায় সকল উৎসব মানে কুমেই । আবার এই ভাষায় শ্মশানের চিতাকে বলা হয় ‘কু’ । মেই মানে আগুন বা আলো । কু+মেই > কুমেই । প্রায় সকল উৎসব তাদের কাছে কুমেই । যার এক মানে দা
হারিয়ে যাওয়া কিশোরের গল্প-দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
দশভূজার কাছে হারিয়ে যায় কিশোর। চোঙায় বাজছে রোশন চৌকি। মাটির গায়ে রঙ। রঙের শরীরে ঘামতেল। ঘামতেলের উপর ডাকের সাজ। শিল্পীর হাতে ক্রমশ কেমন পুরাণ পুরাণ গন্ধ। আর বীরেন্দ্র কৃষ্ণের গম্ গম্ মহিষাসুরমর্দি
দু’টি অণুগল্প-চন্দন ঘোষ
আশ্বিনের শারদ প্রাতে আকাশে শরৎ, বাতাসে শরৎ। পুজো এসে গেল। ষষ্ঠীর সকাল। সকাল থেকেই পাড়া কাঁপিয়ে ডিজের ধামাকা শুরু হয়েছে। বিরামবিহীন। কান ঝালাপালা। জীবন অতিষ্ঠ। নিখিলবাবুর মন খিঁচড়ে রয়েছে। কোথায় শ
২৫ শে বৈশাখ, ১৪৩০-বিজয় সিংহ
অলক্ষী পাখিরা ওড়ে
চঞ্চুতে অঙ্গার নিয়ে অলক্ষী পাখিরা
উড়েছিল
জানলা থেকে আমি আরো দেখি
অহেতুক রাজার মেয়েরা
কালরাত্রি শেষে দাঁড়িয়েছে
পুরনো কার্নিশে
ঘেউঘেউ উঠেছে দূরে
ঘর্ঘর উঠেছে বাইলেনে বালিশে আমার ম
কয়েকটি ছোটো লেখা-দীপকরঞ্জন ভট্টাচার্য
সংবাদনৈঃশব্দ্যের অন্তরে ধুলোপড়া ছুঁড়ে দিই। কী এত মশগুল তুমি! সে যেন জানে না তার গ্রন্থিজটে আমিও কখন একা হয়ে গেছি। এদিকে চিরে চিরে সাইরেন বেজে পুরোনো হিংসাগুলো আকাশ থেকে ভারী বস্তার মতো ঝরে পড
