দু’হাতে হেলেঞ্চা শাকের ডালাটা বাড়িয়ে ধরে কন্ঠ তোলে নয়নতারা, -বুবু, অ বুবু! এ্যাই এগিলা হইবে? না আরো তুলি আনিম? সফুরা উনুনের পাশ থেকে ঘাড় ঘুরিয়ে শাকের ডালাটা দেখে, সবুজ শাকের কচি
ধরো ধনুর্বাণ, সামনে শুয়োর-আব্দুল আজিজ
“পৃথিবীতে যা কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের মধ্যে অন্তর্নিহিত রয়েছে সত্য।”- আল কিন্দি১.দোস্তালি -রায়ে বলা হয়েছে প্রথমেই কাতার হয়ে দাঁড়াতে হবে, আটজনের একটা দল হুড়মুড় করে এসে পড়ল শক্ত ম
ঐ মাথা কেউ গোনেনি-সাদিয়া সুলতানা
পার্টি অফিস থেকে ভেসে আসা হৈ-হট্টগোল সন্ধ্যার নির্জনতাকে আছড়ে ভাঙে, যেন কোনো নিগূঢ় ষড়যন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে দেয়। অফিসঘরটা সাল্লুর। ঠিক সাল্লুর না, ঘরটা সাল্লুর জায়গার ওপরে নির্মিত। দেড় শতাংশ জায়গ
বুনুয়েলের ব্লেড- মণিকা চক্রবর্তী
গত কয়েকদিন ধরে একই চেষ্টা করে যাচ্ছে সে। সে মানে যার কথা বলছি সে হলো মুনিয়া। বাথরুমে যেয়ে কমোডটিকে জলে পরিপূর্ণ করে তার দিকে নির্নিমেষ চেয়ে থাকে সে। একা একা ঘুম ঘুম শরীরে, তছনছ হয়ে যাওয়া মন নিয়
পাগলী-সঞ্চারী দীর্ঘাঙ্গী
সেই রাতের পর থেকে পাগলীর খুব অভিমান হয়ে আছে। কার ওপর, কেন, কিছুই ও জানে না। পাগলী শুধু জানে ও সেদিন কারোর ছায়ার ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়েছিল, ওর খুব পরিচিত ছায়া। কিন্তু ও নিজে তার কাছে অপরিচিত ঠেকলো পু
সম্পর্কের আমসত্ত্ব-রুখসানা কাজল
আপনি যদি একটু চালাক হতেন! তাতে কি হত বুলিক ? চোখ নামিয়ে হেসে ফেলে বুলিক। সহজ হাসিটা ম্লান হয়ে ছড়িয়ে পড়ে মুখে। বৃষ্টি নামার আগে নুয়ে পড়া গাছের পাতার মতো ওর চোখের পাতাগুলো নরম
সুন্দরীয়-ইমরান নিলয়
আহমেদ ভাইকে দেখে আপনার মায়া এবং মেজাজ খারাপ দুইটাই হবে। লোকটা একেবারেই সাধারণ। নিরীহ ও ভীতু ধরণের। যে কীনা ছিনতাইকারীর সাথেও মধুর গলায় কথা বলে এই ভেবে যে তাকে হয়ত ভালো ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেবে। তি
গোরার অভিযান-দ্বৈপায়ন মজুমদার
স্কুল জীবনে প্রেমে পড়া নতুন কিছু না । আজকের অনেক প্রতিষ্ঠিত মানুষও স্কুলবেলায় প্রেমের পাড়ায় ঘুরে এসেছেন । গত শতাব্দীর নব্বই দশকে যারা স্কুলে কাটিয়েছে তাদের মোবাইল, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ
ডাওকি-সায়ন রায়
সকালবেলাটা ছিল মেঘলা । বেলা বাড়তেই ঝকঝকে অথচ কোমল এক রোদ্দুর এসে খেলা করছে ছোট্ট পাহাড়ি শহর জুড়ে। ভোরবেলা একটু শীত শীত করছিল। এখন আর করছে না। গায়ের চাদরটা ভাঁজ করে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখল সুদীপ্ত। মনট
অগ্নি-সোয়ারি-কচি রেজা
বাঁশ চাঁছতে চাঁছতে, ঘরের দিকে মুখ করে হাঁক দেয় মালেক : শুনছো, এটটু আগুন দিয়া যাও। সাজু শুকনো পাটখড়িতে আগুন নিয়ে আসে। বিড়িটা ধরাতে ধরাতে খিঁচিয়ে ওঠে মালেক : কথা কইলে কানে যায় না, না? সাজু চুপ কর