ক. সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে আলো থাকতে থাকতে কাজিয়া দেখার জন্য ভন ভন করতে থাকে অচেনা কিছু মুখ। তাদের চোখে মুখে বিস্ময়, এর আগে এমন কিত্তিকালাপ তারা দেখে নি। তাবিজ-কবচ আর জোড়া ফণা সহ সর্পমণি অংকিত
মেঘমুলুক — পায়েল চট্টোপাধ্যায়
১ ছোট্ট পুঁতির মতো একটা বীজ। হবু-প্রাণ। গাছের। মায়াভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে নবীনদা। যেন কোন এক অমূল্য রত্ন আমার হাতে তুলে দিচ্ছে। -“মানুষের জীবন নয় বলে কি তার দাম থাকেনা? এই যে তুমি অক্সিজেন পাচ্ছো
তোরঙ্গ বন্দী গল্প — পলি শাহীনা
ছোটবেলায় মায়ের কোলে শুয়ে বেপথু নক্ষত্রের উড়ে যাওয়া, উল্কাপতন দেখে, কৃত্তিম কোলাহল বর্জিত আমার গ্রামে মাথার উপর দিয়ে শব্দ করে প্লেন ছুটতে দেখলেই ভাবতাম, নক্ষত্র, উল্কার মত মানুষ যদি পড়ে যায়! কি
যেভাবে গল্প লেখা হয় – তমাল রায়
তুমি তো আর আসোনা। আমার মন খারাপ লাগে। বয়সতো ক্রমে বাড়তেই থাকে। মন খারাপের ও বয়স হয় জানো! সে ক্রমশ ঝিমুতে থাকে,রাতে ও দিনে। অথচ সে শুতেই পারতো। শোয় না। পাছে ঘুমিয়ে পড়লেই তুমি চলে আসো,আবার চলে যা
অলিপ্রিয়া — নিবেদিতা আইচ
এ বাড়িতে এলে সবার আগে আমি মেজেনাইন ঘরটায় চলে আসি। ঘরের দেয়ালজুড়ে আলমারিভর্তি পুরনো বইপত্র। আরেক দেয়ালে বেশ কিছু পারিবারিক ছবির ফ্রেম। আমার যে শুধু বই পড়ার প্রতি অনুরাগ তা কিন্তু নয়। পুরনো জিনিস
ও গঙ্গা — সাদিয়া সুলতানা
হিন্দুর ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে, তাতে ওদের কী? বোঝে না আইজুদ্দিন। মায়ের বিলাপ শুনে তার মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়। এদিকে ছেলের মেজাজের তাপ পরিমাপের কোনো দায় নেই দয়া মাইয়ের। তিনি কাঠ কাঠ হাতে ছেলের হাত
দখলদারি — প্রবুদ্ধ মিত্র
পুকুরের একদিকের পাড়ে পা ও গা ডুবিয়ে সাবধানে স্নান সারে সুবীরদের পরিবার। ওরা নতুন এসেছে এ অঞ্চলে। পুকুরের ধারেই তাদের ঘর ভাড়া নেওয়া। সুবীর পেশায় রাজমিস্ত্রি। ঘরে বৌ ও মেয়ে। যুবতী বৌ ও শিশু কন্যা